অদ্ভুতুড়ে | Adbhuture

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গিরিজাও ASAT] হওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল, “আমার চোখ দারুণ ভাল। ভুল দেখার প্রশ্নই ওঠে না।” “তা হলে বানিয়ে বলছ।” “আপনি ঘুরিয়ে আমাকে মিথ্যেবাদী বলছেন?” আবার সবাই হাঁ-হাঁ করে মাঝখানে পড়ে বিবাদটা আর গড়াতে দিল না। ফটিকবাবু বললেন, “এসব নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ কী? ভূত নামানোর চেষ্টা করুন সবাই। শালার কাছে আমার আর মুখ দেখানোর জো নেই।” শ্যামবাবু বেজার মুখ করে বললেন, “আজ কি ভূত নামানো সহজ হবে? আমার HATA GI আর যোগেশবাবুর রামনামের চোটে ভূতেরা কয়েকশো মাইল তফাতে চলে গেছে।” ফটিকবাবু লাঠিগাছ হাতে করে উঠে পড়লেন। বললেন, “তা হলে আর এখানে মিছে সময় নষ্ট করে লাভ কী! আজ বাড়িতে কড়াইশুটির কচুরি হচ্ছে, দেখে এসেছি।” রাধাগোবিন্দবাবু বলে উঠলেন, “দাঁড়ান ফটিকবাবু, আমিও আপনার সঙ্গে ই বেরোব, আজ আমার বেয়াই-বেয়ান এসেছেন। বাজারটা একটু ঘুরে যেতে হবে, যদি টাটকা মাছ-টাছ পাওয়া যায়।” এমনি করে প্রায় সকলেই একে-একে উঠে পড়তে লাগলেন। ঘরটা ফাঁকা, হয়ে গেল একসময়। একা নন্দবাবু মড়ার aera সামনে মোমবাতির আলোয় আনমনা হয়ে বসে রইলেন। মনটায় একটা ধন্দ-ভাব। একটা ACHR একটু রহস্য। গিরিজা যদি মিথ্যে কথা না বলে থাকে, তা হলে এই হেলমেটটা এল কোথা থেকে? তিনি হাত বাড়িয়ে হেলমেটটা তুলে নিলেন। মোমবাতির আলোয় ঘুরিয়ে, ফিরিয়ে দেখতে লাগলেন। দেখতে অনেকটা তো মানিকের হেলমেটের মতোই। রাত বাড়ছে। বাইরে একঝাঁক শিয়াল ডাকল। ছ ছ করে উত্তুরে একটা হাওয়া ভুতের নিশ্বাসের মতো বয়ে গেল। le ডাকছে। টিকটিকি রহস্যময় ভাবে টিকটিক করে উঠল। মোমবাতির শিখা কেঁপে-কেঁপে উঠল Rote | নন্দবাবুর হঠাৎ কেমন যেন AT ছমছম করে উঠল। তিনি হেলমেটটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। বেরোতে যাবেন বলে পা বাড়িয়েছেন, হঠাৎ শুনতে পেলেন, কে যেন জুতোর আওয়াজ তুলে এদিকে আসছে। দরজাটা ভেজানো | নন্দবাবু দরজার দিকে তাকিয়ে চিন্তা করে দেখলেন, আজ ভৌত ক্লাবের দু'জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন | নরেনবাবু আর সনাতনবাবু। রাত ১৮



Leave a Comment