For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)হবে, এটাও বুঝতে পারলেন তিনি। খ্রীস্ট-ভক্ত এই মানুষটি উপলব্ধি করলেন
যে, খ্বীস্টান সমাজ যে পথ ধরে চলেছে ইংরেজ-শাসিত ভারতবর্ষে, সে পথ
স্বীন্টদেব-প্রদশিত পথ নয়। ১৯১২ সালে লেখা একটি চিঠিতে এগুরুজ রবীন্দ্রনাথকে লিখলেন-_
“আমার প্রাণ চায় যথার্থ স্বাধীন ভারতের মুতিটি দেখব । অথচ দেশের বর্তমান
অবস্থায় সেটি কি সম্ভব? পরাধীনতার ও ছদুনীতির পাপচক্র কেবলই
আবর্তিত হয়ে চলেছে শাসক ও শাসিতদের মধ্যে ।” ১৯১৩ সালের ফেব্রুয়ারি
মাসে এওগুরুজ শান্তিনিকেতনে যান প্রথমবারের মতো। রবীন্দ্রনাথ তখন
বিদ্বিশে। এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গান্ধীজি সত্যাগ্রহ আন্দোলন BF
করেন দক্ষিণ-আফ্রিকায়। দক্ষিণ-আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সাহায্য-
কল্পে অর্থসংগ্রহের জন্যে সারা ভারত পরিক্রমা স্তরূ করেন গোখেল।
এগুরুজের সঙ্গে তার দ্রেখা হয় লাহোরে । সত্যাগ্রহ আন্দোলনে গান্ধীজিকে
সাহায্য করবার জন্যে এগুরুজকে দক্ষিণ-আফ্রিকায় যেতে অনুরোধ করেন
গোখেল ৷ এগুরুজ সঙ্গে সঙ্গে রাজী vq) ভারতবর্ষ ছাড়বার আগে
এগুরুজ ও পিয়ার্মন শাস্তিনিকেতনে যান রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ নেওয়ার
জন্যে । রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তারা৷ আর-একবার দেখা করেন জোড়াসাকোর
বাড়িতে । মহযষিদেবের ঘরে নিয়ে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ উপনিষদের ছুটি মন্ত্র লিখে
দ্বেন তাদের যাত্রার পাথেয়-স্বরূপ | sass সালের পয়লা জানুয়ারি দিনটিও ভারত-ইতিহাসের একটি স্বরণীয়
fea, এই দিন eee ডারবানে পৌঁছন আর জাহাজঘাটে গান্ধীজির সঙ্গে
তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ। এমনি করে ভারতের ছুজন শ্রেষ্ঠ পুরুষের সঙ্গে
এগ্ুরুজের মিলন qa! সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে সফল করে তোলবার
ae দক্ষিণ-আফ্রিকায় এগুরুজ যে অনামান্য কাজ করেছিলেন তাঁর তুলনা
নেই। এগুরুজ না থাকলে জেনারল স্মাট্স-এর সঙ্গে গান্ধীজির চুক্তি সম্পন্ন
হত কি না মন্দেহ । শরীর eZ থাক] সত্বে ও তিনি wee ও স্মাটস্-এর
মধ্যে যোগাযোগ দ্বাপনের কাজ অশ্রান্তভাবে করেছিলেন । তার পরম
ভালোবাসার মা wating জেনেও তিনি গান্ধীজিকে eal ফেলে মাকে
দেখতে ইংলত্ঙে যান নি। ডারবানে থাকাকালীনই মায়ের মৃত্যখবর পেলেন।
রবীন্দ্রনাথকে লিখলেন--'“অনেক সময় ভেবেছি অবাক হয়ে ভারতের প্রতি
আমার এই গভীর প্রেম কোথা থেকে এল ale এই শান্ত মধুর ক্ষণে a