রক্তের বদলে রক্ত | Rakter Badale Rakta

দেখ সেই. দুই মেয়ের। শুকনো মুখে বেড়ায়--খায় না, ঘুমোয় Ti বেয়াঁড়া বয়সটাই asa অপরাধ তাদের। বাপ-মার অশান্তির দুই কাটা--দিবারাত্রি থচখচ করে বেঁধে। ছেলে ছিল সকলের ছোট--দেবেশ। সেটা বসন্তে গিয়েছে, মা-শীতলা নিয়ে নিয়েছেন দু-বছর আগে। ভাগ্যিস গিয়েছে, নয় তো তাকে নিয়েও মুশকিল হত। মেয়ে দুটোও গেল না৷ কেন? তা হলে মির্বস্কাট, পালাবার কোন দায় থাকত না। পালে পালে মানুষ মরছে-_বেঁচে থাকার যে হাঙ্গামা, মরা অনেক CTA তাঁর চেয়ে। কিন্তু সৌমত্ত মেয়ে তো! সহজে মেরে ফেলে TL মরার বেশি অনেক কিছু ঘটে I অমলা বলে, তোমার উপরওয়ালাদের বল। সরকারকে ধরে- পেড়ে যদি কোন রকম ব্যবস্থা SAI হবে ঘোড়ার ডিম। অমলা নরেশ দু-জনেই ভাল মতো জানে | বরঞ্চ ব্যবস্থা করছি বলে একেবারে হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলবে | পায়ের নিচের মাটিই তো নেই--কিসের তবে ভরসা ? পুলিশে গুলি করে নিরীহের উপর। যেমন এ লছমনকে দেখা গেল চোখের সামনে । সরকারের মন্ত্রী নিজের জন্য বাড়তি পেট্রোল নিয়ে লুঠেরাদের দিয়ে দেয় ঘরে ঘরে আগুন দেবার জন্য। পেনাল- কোডের মতে খুন-রাহাজানি বড় অপরাধ, সে কেবল বইয়েরই লেখা। মুসলমানের কাছে তার চেয়ে অনেক বড় অপরাধ-_হিন্দু বা শিখ হুওয়া। মুসলমানও ঠিক সেই রকম হিন্দু-শিখের কাছে। মানুষ- বিচারের আজব রীতি এই বিশ শতকের মাঝামাঝি এসে | মন ভাল নয়, মাঝে মাঝে নরেশ স্ত্রীর উপর খি'চিয়ে ওঠে : দিব্যি ছিলাম কলকাতায়, নিজের বাড়ি মা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকতাম. তোমার জেদে পড়ে পাগুববর্জিত দেশে এসে এখন এই কাণ্ড। প্রাণ কটি ফিরিয়ে নিয়ে যাব, সে আশাও দেখতে পাই নে। অমলারও বলার কথা আছে। কিন্তু কথা-কাটাকাটির সময় কি এখন ? শুধু বলে, মা আলাদা করে দিলেন--আমার কথা ছেড়ে ৫