এই আলোয় | Ei Aloy

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মুখোশ আমার ছেলেটা আশ্চর্য রকম জেদি। যে জিনিসটা একবার ওর মাথায় ঢুকবে সেটা ওর তক্ষুণি চাই। নইলে বাড়ি মাথায় করে তোলে | আমাদেব মতন ঘরেব ছেলেদের জেদ থাকা ভাল নয়; এ ধারণাটা আমার মনে বদ্ধমূল হয়ে আছে। কেননা, CART অতিশয্যে আজকে যে সব আমি ওর হাতে তুলে দিচ্ছি, তা যে চিরকাল পারবো এমন কোন কথা নেই। দুর্দিনের কথা fowl করেই আমাদের চলতে হয়, প্রতি মুহূর্তেই হিসেব করে কাটাতে হয়। আমার বউ অজস্তাব কিন্তু এসব বিষয়ে একদম চিস্তাভাবনা নেই, শোতে গা ভাসিয়ে চলাতেই ও বেশি সুখ পায় | প্রথম প্রথম ছেলের ভেদ, চাহিদা মেটানোর ব্যাপার নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেখেছি, আমার কোন কথাই ওর ঠিক ঠিক কানে যায় না। আশ্চর্য! এমন গভীর ভাবে চেয়ে থাকে ও, যেন সব কিছু মনোযোগ দিযে শুনছে, আসলে কিন্তু সবটাই ফাঁকি! গত রবিবার আমরা তিনজন চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম। হাতির কাছে গিয়ে আমার ছেলের অন্য সব আকর্ষণ হারিয়ে গেল। ওর ডাগর চোখে সে কি বিস্ময়, কী বলবো। বলেছিলাম, চলো আরও অনেক কিছু দেখার আছে, চলো'। ছেলে বায়না করে, তাকে একটা হাতি কিনে দিতে হবে আজই । শুনে TBST কী হাসি! আমি অবাক! কোথায় একটু শাসন করবে, বুঝিয়ে দেবে তা নয়, ছেলের সোহাগে ডগমগ। “বেশ, বেশ, হবে'খন' ছেলেকে থামিয়ে কোনরকমে চিড়িয়াখানা থকে বেরিয়ে এসেছিলাম। ছেলের হাতির বায়নায় অস্থির হয়ে শেষে একদিন বেশ বড়সড় একটা খেলনা হাতি কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম অফিস ফেরতা নিউ মার্কেট থেকে পুঁতি চুম্কি বসান ভেলভেটের হাতিটা সত্যিই কিন্তু খুব সুন্দর ছিল। দোকানে অনেক খেলনা, আমি অসম্ভব লোভী চোখে দোকানের সব কিছু দেখছিলাম। নিজেরই কেমন ইচ্ছে হচ্ছিল, এটা কিনি, ওটা কিনি। এ সব দোকানে এলে বোধ হয় সবাই তার বয়সের কথা ভুলে A | এই ভুলে যাওয়াটা বেশ সুখের | হাতিটা কিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে দেখতেই আমার কেমন কষ্ট হচ্ছিল। কেননা, আমার নিজের ছেলেবেলার কথা খুব স্পষ্ট মনে পড়ছিল। সে বয়সে লোভ ছিল তীব্র কিন্তু না পাওয়ার বেদনা নিয়ে আমরা ক্রমশ বড় হয়ে উঠেছিলাম। | CLINT কী আমি কখনও মনে মনে বলেছিলাম, নিজে যা পেলাম না, তা যেন অন্য অনেকে পায়। আমার বাল্যকালের মত কারো এমন দুঃখে যেন না কাটে। যাক্‌ গে সে সব কথা। বাড়িতে এসে জোরে জোরে ছেলের নাম ধরে ডাকলাম, “সুনন্দ! সুনন্দ! এই দ্যাখো, দেখে যাও তোমার জন্য কী এনেছি ১৯



Leave a Comment