ভিন গ্রহে মানুষ গোয়েন্দা | Bhin Grahe Manush Goenda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পড়ছে সেখানটাতেই সুইচ, বোর্ড। আঙলের ছোয়া লেগে পট্‌ AT করে নানারকম আলো জ্বলে উঠছে। সুইচ, হাতড়াতে হাতড়াতে নির্মল বী দিকের দেয়ালের কোণে চলে এলো। এখানটায় একট। পার্টশন আছে কালো অন্ধকার কাচের। সেই পার্টিশনের ফাকে কোনোমতে লেপটে দাড়িয়ে পড়ল নির্মল। আর তখনই একটা অবিশ্বাস ব্যাপার ঘটে গেল ৷ দেয়ালের সঙ্গে লেপটে দাড়াতে গিয়ে হঠাৎ-ই তার হাত ঠেকে গেল একটি স্ুইচের গায়ে । আর তৎক্ষণাৎ কালো কাচের পার্টিশনে লাগানে৷ একটা বাল্ব জ্বলে উঠল । আশ্চর্য রকমের একট) রঙ ফুটে উঠল বাল্বের গায়ে। এই রঙটির কোনে নাম দেওয়া চলে না_না বেগুনি, না গোলাপি, না মেরুণ--এমনই অদ্ভুত রঙ। এই রঙ পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। বিজ্ঞানী নির্মল ভালো করেই জানে যে PHN aT অনেক বর্ণ আছে যা দৃষ্টিগোচর হয় না | অথচ সেগুলোর অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। মানুষ যে রঙটাকে বলে সবুজ --সেই সবুজের ভিতরকার অনেক রঙ-ই চোখে ধরা পড়ে না, তেমনি লাল হলুদ, খয়েরি ইত্যাদি কোনো রঙেরই সবটা চোখে দেখ যায়না | সেই রঙগুলো ব্যাখার অতীত। ছলে ওঠা বালবের গায়ে এমনই এক অদ্ভুত আলো ফুটে উঠল কালো কাচের গায়ে। মুহূর্তে নির্মলের মাথায় এক বুদ্ধির তড়িৎ খেলে গেল । তার মনে হল কালো কাচের বিপরীতে যে রঙ ফুটে উঠেছে, কালো কাচ থেকে সরিয়ে আনলে সেই রঙটা আর কারুর চোখে পড়বেন । মানুষের চোখে তো নয়ই, এই গ্রহের অধিবাসীরাও হয়তো এই রঙ আলাদ! করে দেখতে পাবে না। তাই বাল্বটিকে ভিন্ন বর্ণের কাচের গায়ে ঝুলিয়ে রেখেছে | অতএব এই বাল্বটি যদি শরীরের সঙ্গে যুক্ত করে জ্বালিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তার দেহ এ অদৃশ্য রঙের আবরণে ঢাকা পড়ে যাবে, আর রঙটি দৃষ্টিগোচর হবে না বলে তার দেহটিও sical চোখে পড়বে না। স্টেজের ফুট লাইটে ata আলো Bera অভিনেতার দেহটি রক্তিম দেখায়, নীল আলো CT দেখায় নীল বর্ণের, সবুজ আলো অললে ১২



Leave a Comment