ডানা [খণ্ড-১-৩] | Dana [Vol. 1-3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ ডানা মেয়েটি খুব সপ্রতিভভাবে মাথা নেড়ে ঘড়া থেকে রস ঢালতে লাগল পেয়ালায়। বৈজ্ঞানিক চোখে দূরবীন লাগিয়ে কি যেন একটা দেখছিলেন, এসব দিকে লক্ষ্যই ছিল না তার। কবি মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়েছিলেন অপরিচিতা মেয়েটির দিকে। লাবণ্যময়ী তরুণী। শীতের সোনালি রোদে জেগেছে স্বপনপুরী লেগেছে রঙের নেশা চোখে হায়, রঙিন স্বপনলোকে মন যেন ঘুরে মরে ঘুরে ঘুরে বারে বারে কারে চায়! রঙ জাগে ফুলে ফুলে প্রভাতের আলোকে রঙ জাগে পাখিদের পালকে আকাশের নীলে আর মাঠ ভরা সবুজে রঙের তুফান জাগে,-__তবু যে কিছুতে ভরে না মন, আরও চাই আরও চাই-_ বাকি যেন আছে কিছু কি যেন কি মেলে নাই তাই কি উঠিল ফুটি রূপসীর আঁখি দুটি শ্যামল বনের পটভূমিকায়! শীতের সোনালি রোদে জেগেছে স্বপনপুরী লেগেছে রঙের নেশা চোখে হায়, কি যেন কি পাই নাই কি যেন কি বাকি আছে ঘুরে ফিরে বারে বারে মন গায়! “নিন |”9 কবি আত্মস্থ হলেন। দেখলেন ফেনায়িত রসের পেয়ালা তুলে ধরেছে CHI কবির মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, “খুঁজতে বেরিয়েছিলাম পাখি, পেয়ে গেলাম সাকী ।” মেয়েটি হাসলে একটু-_ স্নান fad হাসি, কবির মনে হ'ল। বৈজ্ঞানিক চোখ থেকে দূরবীন নামিয়ে সোৎসাহে ব'লে উঠলেন, “বাঃ, সাদা-পেট ফিঙে দেখেছি একটা। দেখবেন ওই দুরের আমগাছটায় নীচু ডালে ব'সে আছে, ওদিকে নয়, এই দিকে, চলুন, আর একটু এগিয়ে যাওয়া যাক বরং, এখান থেকে দেখতে পাবেন না আপনি, চলুন।” “রসটা খেয়ে যান।” “ও ধন্যবাদ--দিন।” এক FUT ঢকঢক ক'রে রসটা খেয়ে ফেললেন বৈজ্ঞানিক পেয়ালাটা মাটিতে নামিয়ে কবির দিকে চেয়ে বললেন, “চলুন, সাদাপেট ফিঙে চট ক'রে দেখা যায় না। রূপটাদ, যাবে নাকি?” রূপটাদ একটি গাছের গুঁড়ির উপরে ব'সে তারিয়ে তারিয়ে চুমুকে চুমুকে রস খাচ্ছিলেন। বললেন, “তোমরা এগোও, আমি যাচ্ছি।”



Leave a Comment