তিন কুড়ি দশ [খণ্ড-৩] | Tin Kuri Dash [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তিন কুড়ি দশ ৫ শহর | সাকিট হাউসের দক্ষিণে, বড় রাস্তার পুবদিকে, ছিল বড় বড় খেলার মাঠ, এই মাঠের উপরই পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নতুন বাঁড়ি হয়। “বিনয়রঞ্জন সেন প্রত্বতত্বাগার” ছিল এইখানে | প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও প্রাণস্বরূপ ছিলেন প্রমথনাথ মিশ্র, জাতিতে মালদার প্রক্ষিপ্ত মৈথিল ates, wifes ও নিবেদিতপ্রাণ, কালেক্টরেটটি ছিল আঠারো শতকে তৈরি রেশম কুঠিবাড়ি। রেশমকুঠিটি পতু'গীজ স্থাপত্যরীতি ও প্ল্যানে তৈরি | যেদিন ইংরেজবাজার পৌঁছলুম, সেদিন কাজের ভার নিইনি । ছুপুরে বিশ্বেশ্বর মৈত্র বাড়ি খাবার পর স্বভাবতই আমার কাজকর্ম কিছু ছিল না। কালেক্টরের গাড়ির মধ্যে ছিল যুদ্ধত্যক্ত তিনটি ভগ্নপ্রায় আমেরিকান ওয়েপন ক্যারিয়ার আর একটি ঠকঠকে জীপ | স্রর্যাস্তের তখনও ঘণ্টা! আড়াহ বাকি । অতএব একটি ওয়েপন ক্যারিয়ার বার করিয়ে আভাকে আর জয়তীকে পাশের সীঁটে আর পিছনে চাপরাশি মজিদ, তোজামল আর ড্রাইভার যতীন দাসকে বপিয়ে আমি চালক হয়ে রাস্তায় উঠে, দক্ষিণে গৌড়ের fers চললুম। তখন প্রায় তিনটে বাজে | নামেমাত্র রাস্তা, কারণ সারাবহর শীত-গ্রীম্ম-বর্ষায় ক্রমাগত গরুরগাড়ি চলে চলে সারা ATi গভীর নালার মত সমান্তরাল কাঁটাকুটিতে ভর্তি । উপরন্তু খঁঁজকাটা নালিগুলি এত গভীর, ফলে মধ্যের আলটি এত উচু যে একটু অসাবধান হয়ে চালালেই জীপের চাকা গর্তে পড়ে যাবে, তখন জীপ ধরে তুলে সমান জমিতে রাখা দুষ্কর কাজ হয়। বিশেষত গাড়ির যদি ডিফারেন্সিয়াল গর্তে ঢুকে যায়। এইসব গর্তের মাঝে মাঝে ছিল বিরাট বিরাট বালির ও ধুলোর গভীর দহ, সময়ে সময়ে এত গভীর যে জীপের তো বটেই, এমন-কি ওয়েপন ক্যারিয়ারের চাক! ডুবে গিয়ে গাড়ি উদ্ধার করা দুষ্কর হত । উদ্ধার পেতে হলে স্থানীয় লোকজন ডেকে, অনুনয়-বিনয় করে তাদের দিয়ে কসরৎ করিয়ে ও সেইসঙ্গে এঞ্জিন চাপিয়ে চেষ্টা করাই ছিল একমাত্র উপায় । বর্ষাকালে আবার যেখানে এঁটেল মাটি হত সেখানে একটুতে গাড়ি এমন পিছলে যেত যে রাস্তার ধারে গাছের সঙ্গে ধাক্ক৷ লাগত | সেদিন বিকালে গৌড়ের পথ ছেড়ে ফারাক্কার সড়ক ধরে কয়েক মাইল চলার পর একটি বড় ঘনবসতির গ্রামে পৌছলুম | রাস্তায় দুধারের বাড়িগুলি থেকে আসছে খটাখট তাঁত চলার আওয়াজ, তার সঙ্গে বড় বড় চরকায় রেশম স্থতো পাকানোর ঘরর ঘরর tel মজিদ বলল গ্রামটির নাম স্বজাপুর, কালিয়াচক



Leave a Comment