সঙ্গ নিঃসঙ্গতা রবীন্দ্রনাথ | Sanga Nisangata Rabindranath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আরম্ভ হতো, atfea বারোটা-একটায় শুতে গিয়েও তার অবসান হতো Ti, একখানা বই হাতে নিয়ে মশারির ভিতর যাওয়া চাই, ঘুমিয়ে পড়ার সর্বশেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত বিষয়াস্তরে ww রাখা চাই মনকে | যখন রাত বেশি হলে কোনো-এক সময় নেহাতই আমাকে একা হতে VS, তখন এই কথাটা ভাবতে আমার ভালো লাগতো যে ঘরে ফিরে কোনো-না-কোনো বইয়ের সঙ্গে মিলন হবে ;— কতদিন সকালে প্রথম চোখ মেলে শুয়ে-শুয়েই রাত্রে-পড়| বইটা আবার খুলেছি। পরবর্তা কালে এই অভ্যাসে উপকরণগত বৈচিত্র্য Vo থাকবে, কিন্তু মূল সুরের বদল হুয়নি। দৈবাৎ যদি এমন কোনে সন্ধ্যা এসেছে--কালে-ভদ্তে সে-রকমও ঘটেছে কখনো-_ যখন বাড়িতে কোনো BWANA হ'লো না, আমি বোতলবঞ্চিত মদ্যপের মতো ছটফট ক'রে ঘণ্টাগুলো কাটিয়েছি। একলা বসে কোনো নাটক অথবা সিনেমা দেখা আমার পক্ষে অসম্ভব ছিলো-_ অভিনয়ের স্বকীয় গৌরব যতই থাক না-_এবং মনের মতো সঙ্গী যতক্ষণ না জুটেছে, ততক্ষণ দেশত্রমণের কোনো পরিকল্পনা আমার মনে স্থান পায়নি । আমার সেই মন এখন থাকলে বর্তমান অবস্থার মধ্যে টিকতে পারতুম না। অতএব দুয়ের সঙ্গে ছুই যোগ ক'রে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় আমি অন্তত কিছু স্বাবলম্বী হ'তে পেরেছি; আমার জীবনের এঞ্জিনে সারাক্ষণ আর বাইরে থেকে ইন্টিম জোগাতে হয় না। এটা খানিকটা লাভ বইকি; কেননা মানুষের অবস্থার উপর সব সময় তার হাত থাকে না, সময়ের চক্রান্তে সঙ্গীদের আর আমার মধ্যে ভৌগোলিক বা মানসিক ব্যবধান দেখা দেয়, বই অথবা কাজ নামক উপকরণগুলোরও স্থিরতা নেই ;-- কিন্তু fares নিজেকে নিয়েই ঘর করতে হয় মানুষকে, প্রয়োজনমতো অনন্যভাবে নিজেরই উপর নির্ভর করতে পারলে তার প্রাণের ভাঙারে অপব্যয় ঘটে না। আমি যে আমার নিজের পক্ষে অনেকটা ৮



Leave a Comment