ফাঁসি আর ফাঁসুড়ে | Phansi Aar Phansure

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দিয়েছিলেন---তাতে প্রথম সাক্ষর করেছিলেন তদানীস্তন কলকাতা জেলের বড় কর্তা মিঃ ম্যাক্রেবী। নন্দকুমার তারই হেফাজতে কলকাতার কারাগারে ছিলেন। কিন্তু ম্যাঞ্রেবী ছিলেন হেস্টিংসের চিরশত্রু ফ্রান্সিস সাহেবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এই ফ্রান্সিসের জন্য ভবিষ্যতে ইম্পেকে খুব afters হতে হয়েছিল। Brora লেখা একটি চিঠির হদিস পাওয়া যায়। চিঠিটি স্যার ইম্পে লিখেছিলেন বারওয়েল সাহেবকে-_ ১৭৮১ সালের ২৭শে জানুয়ারি। তাতে লেখা ছিল--_-"19 Sudder Dewani Adalat is placed under my management. It will be agreeable thing to me but as it was the Governor's act, Iam contended." তা থেকে বোঝা যাচ্ছে--সদর দেওয়ানি আদালতে তাকে যে হেস্টিংস বসিয়েছিলেন নিজের স্বার্থে, তাতে স্যার ইলিজা ইম্পে খুব একটা MSS হতে পারেননি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মেনে নিতে হয়েছিল বন্ধু হেস্টিংসের ইচ্ছাকে মূল্য দিতে। কলকাতা হাইকোর্টে এখনও স্যার ইম্পের দু'টি সুবিশাল তৈলচিত্র রয়েছে, তৈলচিত্র দু'টি দেখলে বোঝা যাবে যে, তিনি পরচুলা পরে লাল-পোশাকে বিচারকের আসনে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। দুটি ছবির একটির চিত্রকর ছিলেন কেটল, অন্যটির জোফানির। প্রথম ছবিটি আঁকা হয়েছিল নন্দকুমারের মামলার পর। আর জোফানির সম্ভবত এঁকেছিলেন ইম্পের ভারত ত্যাগের পর। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, নন্দকুমার মামলায় স্যার ইম্পের সহযোগী ছিলেন রবার্ট চেম্বার্স। চেম্বার্স ১৭৬১ সালে এম. এ. পাশ করেন। ১৭৬৫ সালে মিডল টেম্পল থেকে তিনি বি. সি. এল উপাধি পান। রবার্ট চেম্বার্স ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্ত ও দক্ষ বিচারক। স্যার উইলিয়াম রাকস্টোন অবসর গ্রহণ করলে রবার্ট চেম্বার্সকে অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটিতে আইন-অধ্যাপকের পদ দেওয়া হয়েছিল। তাকে সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য জনসন সাহেব হেস্টিংসের কাছে একটি সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছিলেন বলে ডাক্তার জনসনের জীবনী থেকে জানা যায়। ডাঃ জনসন ছিলেন সুপ্রসিদ্ধ রামেলাস প্রণেতা, স্যার রবার্ট চেম্বার্সের অন্য দু'জন সহযোগী বিচারপতি ছিলেন স্যার লিমেস্টার ও স্যার হাইড। তারাও স্যার রবার্ট চেম্বার্সের পাণ্ডিত্যকে সম্মান করতেন। নানা পুঁথিপত্র থেকে জানা যায় অগাধ fee থাকলেও স্যার রবার্ট চেম্বার্স দৃঢ়চিত্ত ছিলেন না। মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন সদাশয়, তিনি যদি দৃঢ়চেতা হতেন তাহলে স্যার ইলিজা Bria সঙ্গে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহমত পোষণ করে নন্দকুমারের ফাঁসির আদেশ স্বাক্ষর করতেন না। স্বভাবতই নন্দকুমার ফীসির দণ্ড ১৬



Leave a Comment