ছন্নছাড়া মহাপ্রাণ [সংস্করণ-১] | Channyachara Mahapran [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দিশাহারা/৭ 'তপোবনে I” 'তপোবন কোথায় ? আমাদেরও দেখাও ।' তপোবন যে কোথায় সেকথা শরৎ কাউকে কোনোদিন বলেনি । সুরেন্দু মামার সঙেগে শরতের খুব ভাব | বোধহয় সুরেন্দু ওর মায়ের দুধ খেয়েছিল বলেই | সুরেন্দ্র মা সঙ্তানসম্ভবা ছিলেন । এদিকে শরতের একটি ছোট ভাই বাচ্চা বয়সে মাবা যায়, তখন শবতের মা সূরেন্দকে নিজের দুধ খাইয়ে পালন করেছিলেন ৷ তাই যখন সুরেন্দ খুব কাকৃতি মিনতি কবল, তখন শরৎ না বলতে MANA | তপোবনে নিয়ে যাবার আগে সুর্েন্দুকে বলল, 'আমি তোকে নিয়ে তো যাচ্ছি কিন্তু তুই AH, oreo, ও হিমালয়কে সাক্ষী রেখে পুতিজ্ঞা কর যে, এ জায়গাব কথা আর কাউকে বলবি না 2" সুরেন্দু বলল, “আমি সূর্যকে সাক্ষী রেখে বলছি এ জায়গাব নাম কাউকে বলব at আমি ANH সাক্ষী রেখে ASH করছি কাউকে এ জায়গার কথা বলব না। আমি হিমালয়কে সাক্ষী বেখে বলছি, আর কাউকে এ জায়গার Peart দেব ar’ 'তাহলে BF!" ঘোষ বাড়ির উত্তরে গঙ্গার কাছ বরাবর একটা ঘরের তলায় নম ও করমচার গাছ গুলি জায়গাটাকে অন্ধকারে MOLY করে তুলেছিল । নানারকম ল তাপাতায় জায়গাটা এমনভাবে TS গিয়েছিল যে, সেখানে কারুর ঢোকা অসাধা | খুব সাবধানে এক দিকের লতাপাতা সরিয়ে শব সেখানে গিয়ে ঢুকল । জায়গাটি বেশ পরিষ্কার, সবুজ সতেজ লতাপাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের উজ্জ্বল কিরণ এসে পড়ায় স্হানটিকে Hew হরিৎ প্রকাশে উদ্ভাসিত করে তুলোছল | দেখে চোখ ছড়িয়ে যায়--ও যেন কোন্‌ সবপ্ললোকে আসা | একটা বড় পাথর সেখানে ছিল, তার উপর বসে পড়ে শবৎ সূরেন্দরকে ডাকল, 'আয়।' Hay ডয়ে ডয়ে শরতের পাশে গিয়ে বসল। The খরস্রোতা গঙগা, ওপারের দৃশ্য স্পষ্ট, মৃদুমন্দ হাওয়ার কাঁপন মনে পুলক জাগাচ্ছিল | সূরেন্দ PY হয়ে বলল, “জায়গাটি তো ভারি সুন্দর ' TAS বলল, HT, এখানে এসে বসে থাকতে আমার খুব ভালো লাগে, কত কথাই না জানি ভাবি, অনেক বড় বড় চিন্তা মাথায় আসে Hey বলল, “সত্যি মনে হচ্ছে তপোবনে এসে পড়ো | বুঝতে পেরেছি এবার অঙ্কে তুই একণনোর মধ্যে একশো কি করে পেয়েছিস । ' না জানি কতবার এই পবিত্র মৌন ES জায়গায় শরৎ এসে বসেছিল । দূর থেকে |শশুদের কলকাকলি গঙ্গার স্রোতের কল কল ধুনির সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে কেমন রহসাময় পরিবেশ Ae করত। | FASS অনাবিল সৌন্দর্য তার ক্লান্ত দেহমনে স্নেহের পরশ SST যেত, হয়তো তখনই সে মনে মনে শপথ করে থাকবে, 'আমি সূর্য গঙগা, হিমালয়কে সাক্ষী রেখে প্রতিজ্ঞা করছি সারাজীবন সৌন্দর্যের উপাসনা করব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরদিন লড়াই করব, কখনও কোনো ছোট কাজ করব না ।' হয়তো বাড়িতে সে মনোমত নির্জনতা পায়নি | সামান্য শব্দও সেখানে এমন প্রতিধূনি সৃষ্টি করত যে, মাথায় যেটুকু চিন্তার ছবি ফুটে উঠত সব অস্পষ্ট হয়ে যেত | শরৎ শুধু অঙ্কে ফাস্ট হয়েছিল তা নয়, ইংরেজি স্কুলের পুথম বর্ষের পরীক্ষায় সে পৃথম স্থান পায়। ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীণ হবার পর ইংরেজি শিক্ষার জন্য তাকে এক স্লাস নিচুতে ভর্তি হতে হয়, ফলে অন্যান্য বিষয়গুলি তার পক্ষে খুব সহজ হয়ে পড়ে, তাই অনায়াসে ডবল প্রমোশন পেয়ে উঁচু ক্লাসে পৌঁছে যায়। পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ার দরুন বন্ধুদের মধ্যে তার HSS বেশ বেড়ে যায় এবং গুরুজনেরাও আশ্বস্ত হন। স্কুলে একটা ছোট লাইবেরি ছিল। শরৎ সে যুগের বিখ্যাত লেখকদের লেখা বইগুলি লাইব্েরি থেকে নিয়ে পড়ত | যুগসম্ধির সেই যুগে যখন কর্তাবাক্তিরা চণ্ডীমণ্ডপের দালানে বসে চতুষ্পদী নিয়ে মেতে থাকতেন, তখন কিশোর বয়সের এই ছেলের দল লুকিয়ে চুরিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্ুনাথের লেখা বইগুলির পাতা ওলটাত | TAS PY পড়ত না, বোঝারও চেষ্টা BAS | পারিপার্বিক আবহাওয়ার PH] অনুধাবন করার সহজ পদ্ধতি তার সহজাত | সব কিছু সে বড় নিকট থেকে দেখতে পেত |



Leave a Comment