সাজাহান | Sajahan

( w/e ) রহস্যঘন ও বিস্ময়কর তা ইতিহাস অনুরাগী পাঠকমাত্রেরই জানা আছে। স্রষ্টার প্রতিভার স্পর্শে কাহিনীমাত্রেই যে নাট্যোপযোগী হয়ে উঠতে পারে শেক্দপীয়রের নাটকগুলি তার প্রমাণ। তথাপি তার এঁতিহাসিক নাটক রচনার শেষ পর্যায়ে অভিজ্ঞ দ্বিঙ্গেন্রলাল যে আলোচ্য নাটকের কাহিনীতে নাটাবস্তর সন্ধান করেছেন তার জন্য তিনি সমালোচকগণের AES সাধুবাদ অর্জন করেছেন।(বিপুল নাট্যোপকরণের বিন্যাসে নৈপুণ্য এবং বিচিত্র অবস্থায় মানব হৃদয়-বৃত্তির দ্বন্ব-সংঘাত তৌলনে আপন সামর্থ্য সম্বন্ধে তার WG প্রত্যয় এই নাটকে তাঁকে, নূরজাহান ও চন্দ্রগুপ্ত নাটকের রচয়িতাকে. দূঢ়তর প্রতিষ্ঠা দান করেছে 1) মোগলযুগ অবলম্বনে রচিত তার 'নাটকা- বলির মধ্যে শেষ নাটক সাজাহান। হিন্দু ইতিহাস নিয়ে এর পরে যে দুখানি নাটক তিনি রচনা করবেন তার HIST চন্দ্রগুণ্ত নাটকে এবং নাট্যশক্তির পরিচায়ক নূরজাহান নাটকে উল্লেখযোগ্য চরিত্রাবলির সংখ্যা সাজাহান নাটকের অনুরূপ চরিত্রের সংখ্যার তুলনায় কম. ঘটনাস্রোতের বেগ মন্বর ও ব্যাপ্তি সীমাবদ্ধ, মঞ্চমাফল্যের দিক থেকে নূরজাহান fray, এবং অনেকটা এক্‌-চরিত্র-নির্ভর নাটক চন্দ্রগুপ্ত নিয়তর সোপানে। এ-নাটকের নামকরণ ও নায়ক-নির্দেশের ব্যাপারে সমালোচকদের মধ্যে কেমন কৰে একটা অনৈকমত্য দেখা দিয়েছে। নাটকের নাম সাজাহান না হয়ে যদি ওঁরংজীব হত তাতে নাটকের কাহিনী ও চরিত্রহষ্টি সম্পর্কে স্পষ্টতর ইঙ্গিত পাওয়া যেত বলে অনেকে মনে করেন, কারণ Saaz সর্বাপেক্ষা সক্রিয় চরিত্র, 'ত্লারাপর চরিত্রের ও ঘটনার চরম পরিণতির সে নিয়স্তা। অন্যপক্ষে “পাঙ্গাহানের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় সাক্ষীর ভূমিকা (বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ২য় খণ্ড, ডঃ Arata সেন )। নাটকখানির র্বসবিচারে প্রবৃত্ত হতে হলে প্রথমেই এই মমন্যার সমাধান প্রয়োজন | সাজাহান নাটকের coarse আখ্যানকে দু'টি সম্পূর্ণ পৃথক দ্বিক নামকরণ ও নায়ক- নির্দেশ