ঊনিশ শতকের দর্পণ-নাটক | Unis Sataker Darpan-natak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
উনিশ শতকের দর্পণ-নাটক [১১ নীলের চাষ এবং উদত্ভিজ্জ নীল রং প্রস্তুতের আদি স্থান ভারতবর্ষ। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই বে সব জিনিস নিয়ে ইস্ট few কোম্পানী ব্যবসায় আরম্ভ করে নাল তাদের অন্যতম। AR wal নামক জনৈক ফরাসী ১৭৭৭ এ বঙ্গদেশে সর্বপ্রথম নালের চাষ আরম্ভ করেন। পর বৎসর ক্যারেল বম নামক একজন ইংরেজ নীলকুঠি স্থাপন করে সপারিষদ গভর্ণর জেনারেলের কাছে একটি মোমে।রেওাম দাখিল করে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যাপকভাবে নীলের চাষ শুরু করার অনুরোধ জানান। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে শিল্প বিপ্ল আরম্ভ হবার পর ইংলণ্তডে উন্নত Tara গড়ে ওঠার পরেই নীলের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং ate ও বিহারে ব্যাপকভাবে নীলের চাষ শুরু হয়। যে নীল সেই সময় উৎপন্ন ars তার সবটাই কোম্প/নী কিনে নিত - বাংলাদেশ থেকে প্রতি Ae নীল চার আনায় কিনে ইংলণ্ডে পাচ থেকে সাত টাকায় বিক্রি করতো। নীলের চাষ এমন লাভজনক হয়ে দাড়ায় যে, কোম্পানীর উচ্চপদস্থ কর্মচারারাও চাকরি ছেড়ে SATA নালকুঠি স্থাপন STI | "১৮১৫-_১৬ খৃষ্টাঝে বঙ্গদেশে ১২৮০০ মন নীল উৎপন্ন AT এবং মেই সময় থেকে এক বঙ্গদেশই সমস্ত পৃথিবীর নীলের চাহিদা মেটায় ।' প্রথম দিকে নীলকরেরা দেশীয় জমিদারদের প্রলুন্ধ ক'রে প্রজাদের দিয়ে তাদের জমিতেই নীল চাষ কর।/তেন এবং ফসল কিনে দিয়ে নিজেরা নীল রং fasted করতেন। পরে নিজেরাই জমিদার) কিনে বা Bara নিয়ে নীল চাষ করাতে থাকেন । তাদের অর্থ ও প্রতিপাত্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেদের জমিদ।র) ছাড়াও Mata জমিদার ও জোতদারের প্রজাদের জের করে দাদন বা আগাম টাকা দিয়ে তাদের চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নিতেন। এই চুক্তিপত্রে চাষাঁকে কি পরিমাণ জমিতে নীল বুনতে হুবে এবং কি মূল্যে মেই নীল গাছ নীলকরদের্র নিকট বিক্রয় করবে তা লেখা থাকতো। চাষী কোন কারণে চুক্তির শর্ত পূরণ করতে অসমর্থ হলে তার রেহাই মিলতো না। একবার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করলে আমৃত্যু নীল বুনতে হতো। 'নীল বপনে অস্বীকার করলে চাষীর ওপরে অবর্ণনীয় অত্যাচার চলতো। স্বীকৃত না হওয়া পর্যন্ত তাকে নীলকরের কুঠীতে বন্দী অবস্থায় শারীরিক ANT] সহ করতে VCS; পদাথাত থেকে শুরু কষে 'রমাকান্ত' ও স্তামটাদ' নামে এক ধরনের চামড়ার তৈরী চাবুকের প্রহারে জর্জরিত হ'তে RB এতেও. রেহাই ছিল না--নীলকরের পাইক, বর্ুকন্দাজ, লাঠিয়াল



Leave a Comment