বঙ্কিমযুগ (১৮৩৮-১৮৫৮) [খণ্ড-১] | Bankimyug (1838-1858) [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আদিমকালের আঁতুড়ঘরে সবে জম্ম নিয়েছে দুপেয়ে মানুষের চারপেয়ে বন্য পূর্বপূরুষেরা। আর সেই কারণেই স্টাডি অব হিসষ্ট্র'-তে টয়েনবিকে লিখতে হয়- "...(86 factor which we are seeking to identify is something not simple. but multiple, not an entity. but a relation.” ভবতোষবাবু “বন্কিমযুগ' চিহ্নিত করতে গিয়ে ভাবছেন বন্কিম-প্রতিভার pure বিকাশের যুগ, বাংলাদেশের যুগভাবনাকে প্রস্তুত করে তোলার Yt! আমি বনঙ্কিমযুগ বলতে বোঝাতে চেয়েছি বন্কিমের সঙ্গে যুক্ত সময়, যার গর্ভে তার জম্ম, যার cane তার ধারাবাহিক নির্মাণ। যে- বঙ্কিম বঙ্গদর্শনে “কৃষ্ণচরিত্র' লিখবেন, তার চেতনাকোষে-এর বীজ তো রোপণ হয়েছিল সেই সুদূর শৈশবে সালের হিসেবে যা ১৮৪৮। এই বছরেবই ফাল্গুনী পূর্ণিমার রাতে পণ্ডিত প্রবর হলধব চূড়ামণির মুখ থেকে কৃষ্ণকাহিনী শুনতে শুনতে কৃষ্ণ-সম্পর্কিত এক জটিল প্রশ্ন তুলে বঙ্কিম চমকিয়ে দিয়েছিলেন উপস্থিত পণ্ডিত সমাজকে। এরকম দৃষ্টান্ত আরো অনেক | বন্কিমের জন্মের ৫ বছর আগে রামমোহন আর ৭ বছর আগে ডিরোজিও-র প্রয়াণ ঘটলেও Bera চবিত্রে-চিস্তায় মনন-চর্চায় যুক্তিনির্ভরতার যে শক্ত Haley, তার অনেকখানি উপাদানই 4 দুই পূর্বসূরী-সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা থেকেই অর্জন করা। আসলে ‘APT যুগ'-এর অনুসন্ধানে আর তার প্রতিষ্ঠায় আমাদের দুজনের তাকানোটা দু- রকমেব অথবা দুটো ভিন্ন দিকে। ভবতোষবাবু 'বন্কিম যুগ' হিসেবে বোঝাতে চান সেই সময-পরিধিকে, যা বন্কিমের দ্বারা রচিত, তার কল্পনার ছোয়ায় উদ্দীপ্ত, তার জোগানো বোধে উদ্বুদ্ধ, তার মনীষার মন্ত্রে উজ্জীবিত। আর আমি বোঝাতে চেয়েছি সেই কালখণ্ডকে যা তার জম্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রসারিত, যা তার ক্রমাগত নির্মিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে জুগিয়ে গেছে পরিপুষ্ট হয়ে ওঠার অন্নজল। ৬ বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্যে সম্রাট। কিন্তু আত্মচরিতে, সেচ্ছায়, দরিদ্র। সাহিত)কে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন সমাজেব অথবা মানুষের বৃহৎ পরিসরে। কিন্তু নিজের 2 বন পাছে ব্যক্ত হয়ে পড়ে কোনোভাবে, লুকিয়ে রেখেছিলেন একান্তভাবে নিজের wera গভীবে। নিজে তো লেখেননি কিছুই, পাছে কেউ তার আত্মচরিতের ক্ষতিপূরণে লিখে বসে জীবনচরিত, তাই জারি করে দিয়েছিলেন এই নিষেধানামাও যে, প্রয়াণের পরে ১২ বছর পার না-হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা চলবে না তার জীবনচরিত। এখন সে নিষেধনামা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু এখন জীবনচরিত রচনার মালমশলা হয়ে গেছে নিদারুণ রকমের সীমিত। এ-সব জানার পরও কোনো কোনো সংবাদে নড়ে-চড়ে বসতে হয় কিছুটা। বন্কিমের আত্মচরিত আর জীবনচরিত নিয়ে কৌতূহলজাগানো তেমন দুটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া গেল 'শনিবারের চিঠি'র বঙ্কিম সংখ্যায়, যা 4 পত্রিকার ১০ বর্ষের ৯ সংখ্যা। সাল ১৩৪৫ | মাস আযাঢ়। “বন্কিমচন্দ্রের সম্পূর্ণ জীবনোতিহাস আজ ও অলিখিত থাকার পুরা অপরাধ বাঙালী জাতির নহে ; বষ্কিমচন্দ্র স্বয়ং আপনার কীর্তিকে পুরোভাগে স্থাপন করিয়া আপনি অন্তরালে থাকিতেন। বন্কিমচন্দ্রের দৌহিত্র দিবোম্দুসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় নবপর্যায় 'বঙ্গদর্শনে-র ১৩১৮ আষাঢ় সংখ্যা হইতে “বন্কিম-চরিত' রচনার নামে যে ছেলেখেলা করেন (পাঁচ সংখ্যা ধরিয়) তাহার সূত্রপাতে ১১



Leave a Comment