সূর্যাস্তের আগে | Suryaster Aage

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ সূর্যাস্তের আগে কাণ্ড ঘটিয়েছেন বাবা আর ঠাকুরদা হঠকারী, উন্মাদ, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, ইত্যাকার নানা বাক্যবাণে ওঁরা তাকে বিধেছেন কিন্তু বরাবরই দিবাকর একগুয়ে। একবার যা ঠিক করেন সেখান থেকে তাকে টলানো অসম্ভব। বেশ কিছুদিন হাড়ভাঙা ট্রেনিংয়ের পর দিবাকরের পোস্টিং হল সাদার্ন TMCS | তামিলনাডুতেই বেশির ভাগ সময়টা কেটেছে। মাঝে মাঝে যেতে হত কেরালা এবং কর্নাটকে। দিবাকরের বয়স যখন সাতাশ, ঠাকুরদা তার বিয়ে দেন। স্ত্রী সুজাতা এক পরমাশ্চর্য MTT | অনেকটা শান্ত SCH মতো, বাইরে থেকে তলকুল পাওয়া ভার। সারাক্ষণই প্রায় চুপচাপ, ধীর, স্থির। কখনও উঁচু গলায় কথা বলতেন না, পৃথিবীর কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল না। মুখে নিঃশব্দ, স্নিগ্ধ একটি হাসি লেগে থাকত। তিনি যে বাড়িতে আছেন, টের পাওয়া যেত AT! মনে হতো একটা ছায়াশরীর ঘুরে বেড়াচ্ছে বিয়ের পর ঠাকুরদা সুজাতাকে দিবাকরের কাছে তার আর্মি কোয়ার্টার্সে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। দিবাকরের স্বভাব ছিল স্ত্রীর একেবারে উলটো। ডিউটির সময়টা বাদ দিলে হইচই, ecw, বন্ধুবান্ধব, পার্টি, ক্লাব, প্রচুর মদ্যপান, এসব ছিল তার দৈনন্দিন রুটিনের ACT | অন্য সমস্ত অফিসারদের স্ত্রীদের মতো দিবাকরও সুজাতাকে হল্লোড়বাজিতে টানতে চেয়েছিলেন. পারেননি। শান্ত, নরম মানুষটির মধ্যে অনড় এক দৃঢ়তা ছিল। মৃদু গলায় তিনি বলতেন, “MAI আমার ভালো লাগে AT! দিবাকর অনেক বুঝিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে এগুলো হল WAT! অন্য অফিসারদের স্ত্রীরাও তো পার্টি-টার্টিতে যাচ্ছে। এতে বাধাটা কোথায়? আসলে নিজের ANG ফেলে স্ত্রীকে নিজের মনের মতো তৈরি করে নিতে চেয়েছিলেন দিবাকর। কিন্তু নিপাট মধ্যবিত্ত, ares আশ্রমে দীক্ষিত স্কুলমাস্টারের মেয়ে সুজাতার মধ্যে সেকেলে অনেক ধ্যানধারণা হাড়ে-মাজ্জায় শিকড় ছড়িয়ে দিয়েছিল। সেগুলো উপড়ে ফেলা অসম্ভব। মদ্যপান ছিল তার কাছে ট্যাবু। পার্টি টার্টিতে গিয়ে উদ্দাম ছল্লোড় করার কথা তিনি ভাবতেও পারতেন না। আর দশটা সাধারণ বাঙালি মেয়ের মতো স্বামী-সম্তান নিয়ে ঘর-সংসার করবেন, সেটাই তার বিশ্বব্রন্মাগু। তার



Leave a Comment