For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বাতাস কিনুন বয়েস আমার সাতাশ
বেচি আমি বাতাস। ও দাদারা, দিদিরা, বৌদি ও জামাইবাবুরা, একটু শুনবেন, একটু দেখবেন এদিকে, কী
দেখবেন? আমাকে? না, না আমাকে আর দেখার কী আছে? আমি কি শাহরুখ না শচিন?
কী শুনবেন? আমার কথা? না, না, আমার কথা নয়, আমি কি Sees রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী
যে আমার ভাষণ শুনতে যাবেন! শুনুন আপনার নিজের কথা,আপনারই বাঁচা-মরার কথা,আপনার কথা-_-বলছি আমি,
একটু রসিয়ে বলছি, না বৌদিদিরা, এ রসকথায় ভেজাল নেই, তবে কি না আই এস আই
ছাপ মারাও নয়, শুনুন, শুনতে থাকুন, এই যে দাদু ও মাসিমা--এইদিকে দেখুন, এই আমার
হাতে ধরা এই বোতল-_ বয়েস আমার সাতাশ
বেচি আমি বাতাস CNC at, সত্যি সত্যি বয়েস আমার সাতাশ না। তবে আমাদের পাড়ার খুকুমণির
TONS নয়-_খুকুমণির বয়েস প্রতি পাঁচবছরে একবার করে বাড়ে, থুড়ি বাড়ত, হ্যা, বেচারি
আর নেই এ জগতে, যমদূতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছে, বুকের ভেতর জমিদারি পত্তন
করেছিল কী এক কালরোগ, কাশতে কাশতে VATS হীপাতে AS তুলে বেচারি-_যাক সে
কথা, এমন তো ঘটেই থাকে। সে কথা বলে এই সুন্দর বিকেল মাটি করে কেউ, নাকি রাজা
তার রাজকার্য বন্ধ রাখেন! যে কথা বলছিলাম, সত্যি সত্যি বয়েস আমার সাতাশ নয়, সত্যি সত্যি কথাটা কি ঠিক
হল? কারণ ধরুন দাদারা, এই যে সময়ের হিসেবে বয়েসের বিচার, তার নিয়ম তো মানুষের
বানানো, যাট মিনিটে একঘণ্টা, চবিবশ ঘণ্টায় একদিন, তিনশো পঁয়যট্রি দিনে এক বছর-_
এ হিসেব তো হাল আমলের, কিন্তু এ হিসেবের কী মানে আছে ধরুন দুই কি তিন হাজার
বছর আগে যারা বাংলা কি বার্মায় বেঁচেবর্তে ছিল? সময়ের ওই বানানো নিয়মটা পাণ্টে
নিলেই মানুষের বয়েসের অংকটাও বদলে যাবে-_ না, না, ঘণ্টা মিনিটের অংক কষতে
বসছি না, ধরুন, ও দাদু হাল আমলের নিয়মটাই একটু বদলে নিয়ে যদি যেদিন প্রথম স্কুলে
ভর্তি হয়েছিলাম সেদিন থেকে হিসেব করি তাহলে বয়েস আমার সাতাশই হয়--আসলে
মানুষের বানানো হিসেব নিয়ম-কানুনের কোনটা যে সত্যি আর কোনটা মিথ্যে_ পৃথিবীর
নিয়ম দেখুন, যারা রোদে পুড়ে জলে ভিজে মুখে রক্ত তুলে খাটে-_ রোদে জলে খাটেন যারা
তাদের জোটে ছাই
১৬