বৃষ্টি অবৃষ্টি | Brishti Abrishti

১৮ 0 বৃষ্টি অবৃষ্টি অবৈধ কাঠামোগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। হোমগার্ড ও পুলিশ পোস্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় এখানে কাউকে আর বসতে দেওয়া হবে না। শুনেছি বিকেলে মিউনিসিপ্যালিটিতে গিয়েছিল, বস্তি কমিটির লোকজনরাও ছিল, বলতে বলতেই ভোলা বুড়ো আঙুল বাঁকিয়ে বোঝায় ফল কিছু হয়নি। অন্য কোনো জায়গা কি দেবে ওদের? না, সেরকম কিছু শুনিনি। দু-চার জনের বাজারের ভেতর জায়গা আছে, তারা হয়তো বসবে সেখানে। fadia উঠে দাড়ায়, বলে, চ, এগিয়ে দিবি। ভোলা একটু এগিয়ে একটা লম্বা কাঠ তুলে হাতে নেয়, রাস্তায় কুকুরের উৎপাত ঠেকাতে । কুকুর কিছু করবে না, চেনে আমাদের! না, দুজনে যখন যাই বলে না কিছু, একা একা ফেরার সময় হঠাৎ এক এক দিন-_ এই লোকগুলোর কী হবে রে? কী আর হবে? মায়ের ভোগে যাবে। ছেলেপুলে নিয়ে সংসার করে সব। যখন বসেছিল তখন কি জানত না উঠে যেতে হবে, একি বাপের সম্পত্তি, রাস্তাঘাটে যেখানে খুশি-_ ! ভোলা! গলা চড়িয়ে ধমক দেয় নির্বর। ' কেন? ভুল বলেছি? গলা নামিয়ে বলে ভোলা। পুরো দেশটাকে কত লোক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে জানিস, লুটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে, কই তাদের তো কেউ-_ দুজনে চুপচাপ হাঁটতে থাকে পাশাপাশি। রেল বস্তির অধিকাংশ মানুষই ওপার বাংলার। নির্বার ভাবে, একদিন আমাদের বাপ-ঠাকুদ্দাও চলে এসেছিল, তখন এ বাংলার পুরনো বাসিন্দারা অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি তাদের, অনেক বাধা ঘেন্না বিপত্তি, আজ দু-এক পুরুষ পরে, সেইসব উদ্বাস্তু পরিবারের ছেলেরাও এই সব গরিব নতুন উদ্বাস্তদের বিরক্তি ঘেন্নার চোখে CHCA | জেঠু বলে, এরা যে সকলেই ভিটেমাটি হারিয়ে চলে আসছে তা নয়। ঠিক উদ্বাস্ত বলা যায় না, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে চলে আসছে অভাবের তাড়নায়। ভারতবর্ষ, এত বড়ো দেশ, অর্থনীতি তুলনায় সবল, কিছু একটা রুজি-পোজগার হয়ে যাবে এই ভেবেই ঢুকে পড়ছে সীমান্ত পেরিয়ে, শয়ে শয়ে। বাস্তবিক, প্রতিবেশী দেশ থেকে এভাবে চলে আসা লক্ষ লক্ষ লোকের শ্রোত কোন্‌ দেশই বা মেনে নিতে পারে, দেশ বা রাজ্যের অর্থনীতি, পরিকল্পনা সবই এলোমেলো হয়ে ary ভিড়ের চাপে, নাকি? কিন্তু ঠেকাবে কী করে? এক ভাষা, একরকম চেহারা, we দেশে উঠোন আরেক দেশে, কাঁটাতারের বেড়ায় ঠেকানো যায় কি? তা ছাড়া