রাজনীতি ও নারীশক্তি [সংস্করণ-১] | Rajneeti O Narishakti [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ রাজনীতি ও নরিশত্তি শাস্ত্রনির্দিষ্ট এই স্থানটি বর্তমানে চাকুরিরতা নারীদের পক্ষেও সমানভালে ITT | একথা বি-য়য়বকর হলেও সত্য যে আজ একুশ শতকের উত্তর আধুনিকতার যুগেও অধিকাংশ নারার জীবন কাটে সংসারের জীতাকলে পিষ্ট হয়ে। এ জীবনটা ভালো না মন্দ তা বোঝবার মতো অবসরই তাদের থাকে না। স্বাধীন ব্যক্তিত বিকাশের পথও থাকে রুদ্দ। তার ফলে স্বাভাবিক কারণেই থাকে না পারিবারিক বা সামাজিক কোন প্রতিষ্ঠা। অপরদিকে গৃহকর্তরা দৈনন্দিন পারিবারিক দায় দায়িত্ব থেকে ye থাকেন, নারীর উপর আধিপত্য করেন, আর CHA সঙ্গে বহির্জণতে প্রভাব প্রতিপণ্ডি বিস্তারের পথটিও তাদের জন্য খোলা থাকে। স্বামীকে ঘিরেই অতিবাহিত হয় নারীর জীবন। স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথেই আজও CTI হয়ে যায় অধিকাংশ নারীর SHIT!) ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন (Hindu Women Remarriage Act, 1856) পাশ হওয়া সত্তেও শাস্ত্রীয় অনুশাসন এবং এই তনুশাসনকে জড়িয়ে ধর্মীয় কসংস্কার এবং নানা আর্থসামাজিক কারণের জন্য বিধবা বিবাহ এখনও ব্যতিত্রম্মী ঘটনার মধ্যে পড়ে। পুরুষ শাসিত ধর্মাশ্রিত সমাজে অনেক রূপ কানোয়ারকে এখনও WS) হতে হয়। আর কিছু মৌলবাদী রাজনৈতিক শক্তি নারীর এই আত্মাহুতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ser | বিপরীতে ১৯৫৫ সালে পুরুষের একাধিক বিবাহ আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখনও পুরুষের একাধিক স্ত্রী নিয়ে সমাজ সংসার এত বিচলিত নয়। এ বিযয়ে শাস্ত্রভিত্তিক আইনও নারীকে সুবিচার দিতে ব্যথ হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত সারাজীবনই নারী পুরুষের পারিবারিক ও সামাজিক অসমান অবস্থান বিদ্যমান। যুগযুগান্তর ধরে নারীর প্রতি ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক নীতির ফলেই সাধারণ নারীর স্থান আজ আর্থসামাজিক কাঠামোর নিম্নস্তরে। আর তপশিলী জাতি/ উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ও বি সি), অর্থাৎ নিম্নবর্গের নারীর অবস্থান সাধারণ নারীদের অপেক্ষাও নিম্ন স্তরে। শৃদ্র ও নারী ইতিহাল বলে যে এদেশের ক্ষত্রিয় এবং ব্রাহ্মণ জোটশক্তি নিজেদের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থে তথাকথিত বৈশ্য এবং শূদ্র বর্ণকে ধর্মের নামে বংশ পরম্পরায় কৃমি এবং শিল্পশ্রমিকে পরিণত করেছে, আর নিজেরা ভোগ করছে উদ্বৃত্ত সম্পদ: চারটি



Leave a Comment