রবীন্দ্র প্রতিভা | Rabindranath Prativa

কবিতা অভিন্ন হয়। তাই তো কবি বিদ্যাপতি বলতে পারেন-_ লাখ লাখ যুগ হিয়ে fea রাখনু, তবু হিয়া জুড়ন না গেল | দ্বিতীয়তঃ aie যে বর্ণরেখাসম্পাতে ফুটে ওঠে বিশাল দেশকাল। বিমল প্রভাতের অপরাজিতা বা দোপাটি ফুলটি সুন্দর | সন্ধানী চিত্তমধুপ তার way পান ক'রে পরিতৃপ্ত হয়; দেখে সেই ফুলটিকে কুটারাঙ্গনে, বেড়ার গায়ে, শিশিরসজল yao শোভায়। কিন্তু মন কেবল মধুকর নয়; সে আবার অনেক-কিছু। রাজহংসের মতো বলিষ্ঠ ডানায় BTA IS সে ওঠে; যাত্রা করে দক্ষিণসমুদ্তের দ্বীপভূমি থেকে দূর কৈলাসে বা মানসসরোবরের অভিমুখে; নিয়ে চিত্রবং প্রসারিত দেখা যায়-- গিরি বন সমুদ্র, রজতরেখাকার নদনদী, ঝিন্নক-শামুকের সমষ্টির মতো লোকালয়। গভীর অনুভবের প্রয়োজনে হয়তো সীমাবদ্ধ ক্ষুদ্র দেশ-কালের মধ্যেই আবদ্ধ ক'রে দেখতে হয় অনুভূতির বিষয়টিকে; হয়তো তা হয় ali কিন্তু এ কথা নিশ্চিত, কেবল গভীরতার নয়, ব্যাপকতার, বিশালতার এক প্রকার আকর্ষণ আছে। এমন "ser আছে, চৈনিক চিত্রকরের তুলির টানের মতো যার প্রসাদে একেবারেই দেখা যায় একটি fate দেশের বা কালের; তখন তারই বিশাল ছন্দে স্পন্দমান দেখি তার অন্তর্গত খুঁটিনাটি বিষয়গুলি সব। সে এক অভিনব দেখা। যেমন অয়শ্চক্রনিভ সমুদ্বের তমালতালীবনরাজিনীল! বেলা- ভূমিকে দেখ! গেল দূরের থেকে অলৌকিক একটি কলঙ্কলেখার মতো কালিদাসের ভুবনবিখ্যাত শ্লোকে | তারই অপুর্ব মেঘদূতের গমনপথে যেমন একে একে উন্মোচিত হল সমুদয় ভারতবর্ষের স্মৃত-বিস্মৃত অশেষ অপরিসীম শোভা । বর্তমান যুগের অগ্রগামী কবি হুইটুম্যান এবং কার্পেন্টারের অবিস্মরণীয় রচনাও স্মরণযোগ্য-_ 'ভারতযাত্র, ৬৩