মহ্যফিল | Mehfil

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নিয়েছিলাম আমাদের ফেলে তিনি প্রণতিদি আর বড় মেয়ে ইরার সঙ্গে গল্প করতে চাইবেন।* ১৯৪৩ সালে মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজের বার্ষিক দিবস উপলক্ষ্যে তিনি ঢাকা থেকে FARIS এসে আমাদের কাছে একদিন ছিলেন। বাড়িতে দীনেশচন্দ্র সেনের দুই খণ্ড “বৃহৎ বঙ্গ” দেখে তিনি মহা খুশি। গড়গড় করে কবিকষ্কণ মুকুন্দরামের অনেক অংশ মুখস্থ বলে গেলেন। Seay আবৃত্তি করার মুহূর্তকাল আগে শিশুকে কী করে মায়ের দুধ ছাড়িয়ে অন্য খাদ্য ধরাতে হয় সে বিষয়ে তিনি আভার সঙ্গে আলোচনা করছিলেন।২ গম্ভীর, ACKR, ব্যারিটোন গলায় তিনি এমন ভাবে কথা বলতেন যেন ঘরকন্নার কথা হচ্ছে। তার কথা বলার ধরন থেকে আপনাআপনি যেন তার কথার বা বিষয়ের অসামান্যতা বেরিয়ে আসত।...তার কথা বলার ধরনে গুরুগঞন্ভীর বা পাসণ্ডিত্যের ভারে চমকে দেবার ভাব একেবারেই থাকত না। দুরূহ বিষয়েরও যখন আলোচনা করতেন এমনভাবে করতেন যেন সমানে সমানে কথা বলছেন। অতি জটিল HSB ও ভাব ব্যক্ত করতেন সহজ সরল ভাষায় অনেকটা বাউলদের অথবা কৃষ্ণনাস কবিরাজের TS আ্যারিস্টটলের ভাষায়ু, wm মহাজ্ঞানী, কথোপকথনে সরল PAF | অসাধারণ পাণ্ডিত্য, দখল, জ্ঞান ও বিনয় না থাকলে আমাদের দেশের পণ্ডিতরা এত সহজ ভাষায়, সাধারণ লোকের মত কথা বলেন ay? শাঁটুলবাবুর ভাষায় সত্যেন বোস মশায় আলু পটল দিয়ে কোয়ান্টাম থিওরি বুঝিয়ে দিতে পারতেন গোলা লোকেদের। সুধীন কাকার নতুন ন্যাশ সেলুন গাড়ি, সুন্দর চেহারা সাজপোশাক ও পকেট ভর্তি করে মোটা মোটা চকোলেটের বার নিয়ে আসার অভ্যাসের দরুণ, ইনি আমার বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন। সে বয়সে ওঁর কবিতার মর্মোদ্ধার করবার মত ক্ষমতা না থাকলেও উনি এত বড় জাঁদরেল সম্পাদক ছিলেন যে রবীন্দ্রনাথের একটি লেখা না ছেপে ফেরত পাঠিয়েছিলেন, শুনে শিশুকালে আমার বিস্ময়ের ও ওর প্রতি সাতিশয় সম্ভরমের উদ্রেক হয়েছিল। পাশটাশ করে পরবর্তীকালে কলকাতায় ১. তদেব ; পৃ. ৫৫-৫৬, দে'জ পাবলিশিং। ২. এ : পৃ. ৫৭-৫৮। দে'জ পাবলিশিং! ৩. এ : প্. cul দে'জ পাবলিশিং। ১৭



Leave a Comment