বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
18 MB
মোট পৃষ্ঠা
268
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভারতে ফুলের ও উদ্যান পরিচর্যার ইতিহাস 5 Hamiltonia suaveolens, Holmskioldia, Sanguinea, Clerodendron
inerme, Crossandra infundibuliformis (GFRIG ইনফাণ্ডিব্লিফরমিস),
Plumbago rosea, Plunbago zeylanica, Tabernaemontana coronaria,
Trachelospermum fragrans, Osmanthus fragrans, Passiflora
leschenaultii, Clitoria ternatea (অপরাজিতা), Porana paniculate,
Gloriosa superba এবং Clematis montana | অন্যান্য ফসল চারাগাছের মতো কিছুসংখ্যক ফুল বিশেষ করে ওষধিলাতীয় বর্ষজীবী,
দ্বিবর্ষজীবী, বহুবর্ষজীবী এবং কন্দজাতীয় ফুলের চারা যেগুলি আমাদের দেশের বাগানে
হয়, তাদের আমদানি হয়েছিল বিদেশ থেকে। এইসব আকর্ষণীয় ফুল ইউরোপ,
আমেরিকা, আফ্রিকা, চান, জাপান ও ভারতের বাইরে অন্যানা দেশ থেকে এসেছে।
ফুলের জাতিগত বিবরণের পৃথক অধ্যায়ে এদের জন্মস্থানের উল্লেখ করা হয়েছে!
এইসব আকর্ষণীয় ফুল কীভাবে এদেশে পরিচিত হয় তার কোনো তথ্যভিত্তিক ইতিহাস
নেই। বলা যেতে পারে, এই জাতের ফল মুঘল ও ইংরেজ আমলেই পরিচিত হয়।
এদেশে উদ্যানচর্চার রেনেশাস মুঘল বাদশাহদের সময়েই, বাবর থেকেই যার শুরু!
পারসা ও মধ্য এশিয়ায় cafe ও কন্দজাতীয় Tos আবাদ হতো। সেখান
থেকেই বহু চারা বা গাছ ভারতে আসে। সমসাময়িক অনেক রচনায় ও আত্মচরিতে
এসব গাছ বা ফুলের উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও মুঘল চিত্রকলায় অনেক ফুলের নকশা
লক্ষ করি, বিশেষ করে চিত্রিত পটের চারপাশের কিনারায়। 'বাগ-ই-ওয়াফা' গ্রন্থে
বাবর ভারতে উদ্যানচর্চার বিশদ বর্ণনা করেছেন। মুঘল সম্রাটরা বিভিন্ন ধরণের
গাছগাছালির প্রচলন করেন যার অনেকগুলিই কাশ্মীরে রোপন করা হয়। কেননা,
সমতল অঞ্চলের তুলনায় কাশ্মীরের আবহাওয়া ও প্রকৃতি এই ধরণের উদ্ভিদের পক্ষে
বেশি উপযুক্ত ছিল। গোলাপ, কার্নেশন, আইরিসেস, নার্সিসাস, ড্যাফোডিল, লিলি,
টিউলিপ ছাড়াও কাশ্মীরের বিখ্যাত চিনার.গাছ কিন্তু সেই মুঘল আমলেরই। 1526
নাগাদ বসেরা বন্দর হয়ে গোলাপ এদেশে পরিচিত হয় সম্রাট বাবরের উদ্যোগে।
জাহাঙ্গীর ও নূরজাহান গোলাপ-প্রেমিক ছিলেন, বাগানে গোলাপ পরিচর্যার জন্য উৎসাহও
দিতেন। পরে ব্রিটিশ আমলে ইংরেজ ও পর্তুগীজরা বহু প্রজাতির ফুলের পরিচিতি ঘটায় ।
মিশনারি, ধর্মযাজক, সরকারি কর্মচারী ও শৌখিন বাগানাবিলাসীরা ছিলেন এ-সমস্ত
ফুলের সংগ্রাহক। অনেক আকর্ষণীয় ফুলের চারা এদেশে আমদানি করেছিলেন এক
বিখ্যাত মিশনারি-_এই ইংরেজ মিশনারি ড: ফার্মিঙ্গার 1863-তে ফুলের নানান প্রজাতির
বিবরণ সহ উদ্যান পরিচর্যার বিষয়ে একটি বই লেখেন। আজ পর্যন্ত সুশোভন ফুলের
অন্যতম প্রামাণ্য সহায়িকা গ্রন্থ 'ফার্মিঙ্গারস্ ম্যানুয়েল অফ গার্ডেনিং ইন ইণ্ডিয়া।” আমাদের দেশজ কিছু কিছু ফুল, বিশেষ করে হিমালয় অঞ্চলের আকর্ষণীয় Chara
এবং আলপাইন প্রজাতিসহ বহু গাছ অন্যান্য দেশেও সুপরিচিত ছিল। গ্রেট ব্রিটেনে