শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ | Sarath-sahitya-sangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ শরৎং-সাহিত্য-নংগ্রহ নিরানন্দকে হরণ Sarai লইয়াছিল, সে কি Pete শক্তি ।) আর মনে হয়, সেদিন আমারই মত আর ছুটি অক্ষম, দুর্বল হাতের উপর এত বড় গুরু-তারটা চাপাইয়া না দিয়া, যদি সমস্ত জগদ্ত্রহ্মাণ্ডের তারবাহী সেই ছুই হাতের উপরেই আমার সেদিনের সেই sade বিশ্বাসের সমস্ত বোঝা সপিয়৷ দিতে শিখিতাম, তবে ate ate আমার তভাবনা কি ছিল ? কিন্তু যাক্‌ সে কথা। রাজলঙ্ষ্মীকে পৌঁছান সংবাদ দিয়া চিঠি লিখিয়াছিলাম। সে চিঠির জবাব আসিল, অনেক দিন পরে। আমার ae দেহের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া, অতঃপর সংসারী হইবার জন্য সে আমাকে কয়েকটা মোটা রকমের উপদেশ দিয়াছে, এবং সংক্ষিপ্ত পত্র শেষ করিয়াছে এই বলিয়া যে, সে কাজের ঝঞ্চাটে সময়মত পত্রাদি লিখিতে না পারিলেও আমি যেন মাঝে মাঝে নিজের সংবাদ দিই, এবং তাহাকে আপনার লোক মনে করি। SUS! এত দিন পরে সেই রাজলঙক্ষ্মীর এই চিঠি । আকাশ-কুস্মম আকাশেই শুকাইয়া গেল, এবং যে ছুই-একটা OA পাপড়ি বাতাসে aaa পড়িল, তাহাদের কুড়াইয়৷ ঘরে তুলিবার জন্যও a হাতড়াইয়া ফিরিলাম at) চোখ frail যদি বা ছু-এক Cote) জল পড়িয়া থাকে ত, হয় ত পড়িয়াছে, কিন্তু সে কথা আমার মনে নাই। তবে এ কথা মনে আছে যে, দিনগুল৷ আর স্বপ্ন দিয়া কাটিতে চাছিল ai) তবুও এম্‌নি ভাবে আরও পাঁচ ছয়মাস কাটিয়া গেল। একদিন সকালে বাহিরে যাইবার উপক্রম করিতেছি, হঠাৎ একখান] অদ্ভুত পত্র আসিয়া উপস্থিত হইল । উপরে মেয়েলি কাচা অক্ষরে আমার নাম ও Hera | খুলিতেই পত্রের fous হইতে একখানি ছোট পত্র Fe করিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল। তুলিয়া লইয়া তাহার অক্ষর এবং নাম-সইর পানে চাহিয়! সহসা নিজের চোখ ছুটাকেই যেন বিশ্বাস করিতে পারিলাম না। আমার যে মা দশ বৎসর পূর্বে দেহত্যাগ করিয়াছেন, ইহা তীাহারই শ্রীহস্তের লেখা। নাম-সই তারই। পড়িয়া দেখিলাম, মা তার “গঙ্গাজল”কে যেমন করিয়া অভয় দিতে হয়, তা দিয়াছেন। ব্যাপারটা সম্ভবতঃ এই যে, বছর বারো-তেরো পূর্বে এই 'গঙ্গাজলে'র যখন অনেক বয়সে একটি কন্ঠারত্ব জন্মগ্রহণ করে, তখন তিনি ছুঃখ Cr” এবং দুশ্চিন্তা জানায়] মাকে বোধ করি পত্র লিখিয়াছিলেন ; এবং তাহারই প্রত্যুত্তরে আমার স্বর্গবাসিনী জননী এই গলঙ্গাজল-দুহিতার বিবাহের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করিয়া যে চিঠি লিখিয়াছিলেন, এখানি সেই মূল্যবান্‌ দলিল। সাময়িক করুণায় বিগলিত হইয়া মা উপসংহারে লিখিয়াছেন, স্পাত্র আর কোথাও না জোটে, তার নিজের ছেলে ত



Leave a Comment