সাহা আমি কালো আমি [খণ্ড-২] | Sada Aami Kalo Aami [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমাদের লোকেরা যুদ্ধ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পাত্র নয়। তারা জানত, পুলিশের কাজে ধৈর্য হারানোর কোনও জায়গা নেই। ধৈর্য হারানোর অর্থ পরাজয়কে স্বীকার করে নেওয়া। ঘড়ি নটার দিকে ছুটছে। হঠাৎ ওরা দেখতে পেল, ইস্টবেঙ্গল মাঠের পেছন দিক দিয়ে আট-নজন লোক আসছে। ছায়ামুর্তি। কিছুই বোঝা যাচ্ছে না অন্ধকারে। তবে দেখে মনে হলো, প্রত্যেকেই ট্রাউজারস পরা। ওরা ইস্টবেঙ্গল মাঠের র্যামপার্টের পেছন দিক দিয়ে গিয়ে ঝোপঝাড়ের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে গেল। কে ওরা? কি জন্য ওরা ঝোপঝাড়ের আড়ালে অন্ধকারে গেল? কেন ওরা আলোর পথ ছেড়ে অন্ধকারের মাঝে লুকিয়ে পড়লো? কি উদ্দেশ্য? কি করবে রাজকুমাররা ? তবে একটা ব্যাপার রাজকুমারের কাছে পরিষ্কার যে ওরা কোনও মহৎ কাজের জন্য ওই সময়.আলো ছেড়ে ওই অন্ধকারের আশ্রয় নেয়নি। এক মিনিট, দুই মিনিট, তিন মিনিট, ওদিক থেকে কোনও সাড়াশব্দ নেই। রাজকুমার ঠিক করে ফেলল, যা হয় হবে, ওদের আক্রমণ করে ধরবে। তাই সে ফিসফিস করে ওর সঙ্গী সিপাইদের নির্দেশ দিল, “ওরা দলে আমাদের থেকে ভারী। গায়ে জোরও আমাদের চেয়ে কম নয়, তাই ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে ওদের এক একজনকে দু তিনজন মিলে ধরবে, বাকিরা পালালে পালাবে, কিছু করার নেই, তবু কজনকে তো ধরতে পারবো।” ওর নির্দেশ মত সবাই মিলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মাঠের পেছন দিকের নর্দমার পাশ দিয়ে নিঃশব্দে এগিয়ে যেতে লাগল। অন্ধকারে RST হয়ে হাটতে হাটতে ঝোপের দিকে এগোতে লাগল। তারপর যে ঝোপের আড়ালে ওরা গিয়েছে সেদিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে দেখতে পেল সেই দলটাকে, সেখানে YI আওয়াজ আর একটা মেয়েলি গোঙানোর শব্দ কানে আসতে লাগল। তারা সবাই এমন কাজে TW যে, রাজকুমাররা যে ওদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে তা বুঝতেই পারল AT , চকিতে রাজকুমার আর আটজন সিপাই ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। ঝোপঝাড় অগ্রাহ্য করে কজন ছুটে পালাল। রাজকুমাররা তাদের দলের তিনজনকে জাপটে ধরে রাখল। তারা গায়ের সমস্ত শক্তি এক করে ওদের হাত থেকে পালানোর জন্য ছটফট করতে লাগল। কিন্তু দু-তিনজন মিলে. একজনকে ধরাতে, ধৃত তিন্জন হার মানতে বাধ্য. হল। ধস্তাধস্তি, লাফ, ছোটাছুটির মধ্যেই রাজকুমার cece নিয়েছে একটা মেয়ে ৭



Leave a Comment