এই তীর্থ | Ei Tirtha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ এই তীর্থ স্মৃতিসৌধ কেমন দেখায়, জানতে হবে। এক-একদিন সিনেমা-ভাঙ] জনল্রোতের দিকে তাকিয়ে থাকি, কিন্তু ভিতরে গিয়ে যে একদিনের জন্যও ছবির কথা-কওয়া দেখে আসব, সে স্পৃহা জাগে না! অনিয়ম হতে-হতে টুইশানি ছুটোও একদিন ছুটে গেল । ফলে, ore গেল, পোস্টাপিসের পু'জিও আসছে কমে । তবে, টুইশানি আর খুঁজব না, খুঁজব চাকরি। জমানো টাকার ae we শূন্যের দিকে এগিয়ে আসে, আমিও চাকরির জন্য, যাকে বলে “হন্যে” হয়ে ঘুরে বেড়াই | আমার চার রুম-মেটের একজন ছিল বৃন্দাবন, সে একটা কী যেন করত, কিন্তু হঠাৎ তার সেটাও গেল ৷ তাই, দুজনে হয়ে পড়েছি দুজনের সমব্যথী'।। হেঁটে হেঁটে কোথায় না গেছি, কাকেই বা aI ধরেছি ! এমন কি অভিমান ত্যাগ করে, জো্যেঠামশাইদের কাছেও গেছি, ভাইদের কাছেও গেছি | সবার মুখেই শুষ্ক এক উত্তর, চাকরি কোথায় ! চাকরি নেই-_চাকরি নেই ! পৃথিবীর সব রঙ, সব ane বুঝি সেই সঙ্গে বিবশ-বিবর্ণ-বিশুষ্ হয়ে গেছে! এমন দিনে, কী করে, কার কাছ থেকে যেন খবর পেলাম, আমার দূর সম্পর্কের এক মাসতুতো ভাই-_আমার বয়সীই হবে-_ছোটবেলায় বার কয়েক তাকে দেখেছি, আমাদেরই বাড়িতে এসে-_-আমাদেরই ঘরে দিনকতক কাটিয়ে গেছে তার বিধবা মাকে নিয়ে--খাঁছু ছিল তার ডাক নাম--ভালো নাম-_শলীশেখর চক্রবর্তী, __সে থাকে “ভিজিয়ানাগ্রাম” বলে একটা জায়গায়--ভালো চাকরি করে-_ইচ্ছা করলে চাকরি দিতে পারে। বৃন্দাবনের কাছে গোপন করলাম সং বাদটা ! ৷ কী জানি, ও-ও বেকার, যদি সন্ধান পেয়ে ওখানে চলে গিয়ে আমার সম্ভাব্য স্ুবিধাটুকু বিনষ্ট করে দেয়! অথচ, বন্ধু বলতে, একমাত্র সে-ই । তাকে শুধু বললাম-- হয হে, ভিজিয়ানাগ্রাম কোথায় জানো ?



Leave a Comment