জগদীশচন্দ্র সেরা রচনা সম্ভার | Jagadishchandra Sera Rachana Sambhar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রসঙ্গ জগদীশচন্দ্র the body and can meditate or inquire endlessly while life remains, never for a moment losing sight of the object, never for a moment telling it to be obscured by any terrestrial temptatioin. We can see no reason whatever why such a mind, turning from absorption in insoluble problems should not betake itself ardently, thirstily, hungrily, to the research into Nature, upon which yet deeper inquiry can be based. If that happened—and Professor Bose is at all events a living evidence that it can happen, that we are not imagining an impossibility—that would be the greatest addition ever made to the sum of the mental force of mankind.” জগদীশবাবু বালক বালিকাগণের শিক্ষাকার্যে বিশেষ আগ্রহশীল। শ্রীযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ সরকার ও আমি তাহারই উৎসাহে শিশুদের জন্য “মুকুল” নামক সচিত্র মাসিকপত্র প্রকাশের উদ্যোগ করি। অল্পদিন হইল তিনি এক পত্রে “মুকুলের” উন্নতি কল্পে আমায় কয়েকটি কথা লিখিয়াছিলেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাহার বিশেষ অনুরাগ আছে। আমার যতদূর মনে পড়ে তিনি ইংল্যান্ড হইতে ফিরিয়া আসিয়া “সঞ্জীবনী” পত্রিকায় একটি বাংলা প্রবন্ধ লিখেন। তাহাতে ফসেট্‌ পরিবারে তিনি যে আদর ও প্রীতি পাইয়াছিলেন তাহার উল্লেখ ছিল। তাহার পর আমি যখন “দাসী” র সম্পাদক ছিলাম তৎকালে উক্ত পত্রিকায় তিনি wrath উৎস সন্ধানে” একটি ও “কলুঙ্গীর ZR’ সম্বন্ধে আর একটি প্রবন্ধ লিখেন। পূর্বোক্ত প্রবন্ধ সম্বন্ধে 'সাহিত্য' সম্পাদক নিম্নলিখিত মন্তব্য প্রকাশ করেন ঃ£ “ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে”, একটি সুন্দর প্রবন্ধ। লেখক কবিতার ভাষায়, গানের Waid, বিজ্ঞানের গভীর তত্ত্ব গল্পের মত বর্ণনা করিয়াছেন।”” এই প্রবন্ধের একটি স্থান এখনও আমার মনে আছে। তাহা এই ঃ “সেই দুইদিন বহু বন ও গিরি সঙ্কট অতিক্রম করিয়া, অবশেষে তুষার ক্ষেত্রে উপনীত হইলাম। নদীর ধবল সূত্রটি সুক্ষ হইতে সূচ্ষ্নতর হইয়া এ পর্যন্ত আসিতেছিল। কল্লোলিনীর TNS এতদিন কর্ণে ধ্বনিত হইতেছিল। সহসা যেন কোন এন্দ্রজালিকের TA প্রভাবে সে গীত নীরব হইল। নদীর তরল ata অকশ্মাৎ কঠিন নিস্তব্ধ তুষারে পরিণত হইল। ক্রমে দেখিলাম, স্থানে-স্থানে প্রকাণ্ড উর্মিমালা প্রস্তরীভূত হইয়া রহিয়াছে, যেন ক্রিরাশীল চঞ্চল তরঙ্গগুলিকে কে “তিষ্ঠ” বলিয়া অচল করিয়া রাখিয়াছে। কোন Tae যেন সমগ্র বিশ্বের স্ফটিকখানি নিঃশেষ করিয়া এই বিশাল ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ সমুদ্রের মূর্তি রচনা করিয়া গিয়াছেন।” তিনি একবার আলমোরা হইতে যে তুষার নদী দেখিতে যান ইহা তাহারই বর্ণনা। ইহার পর তিনি “সাহিত্যে” “আকাশ স্পন্দন ও আকাশ সম্ভব জগৎ” শীর্ষক একটি এবং Weer “গাছেরা কি বলে” শীর্ষক আর একটি প্রবন্ধ লিখেন। সকলগুলিরই ভাষা মনোল্ঞ, বিশুদ্ধ ও কবিত্বপূর্ণ। বাস্তবিক কবির কল্পনা ও বৈজ্ঞানিকের কল্পনা সচরাচর লোকে যেরূপ বিভিন্ন প্রকারের মনে করিয়া থাকে, তাহা নয়। কী সৌন্দর্য রচনা, কী বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কার উভয়েই কল্পনার প্রয়োজন। কল্পনা ব্যতিরেকে নূতন কিছু গঠিত বা সৃষ্ট হইতে পারে ন্না। জগদীশ বসুর মুখচ্ছবিও কবিরই মতো | শুষ্ক বৈজ্ঞানিকের মতো AT | তাহার বাংলা সাহিত্যের অনুরাগের কথা বলিলাম। ইহা বলাও বোধ হয় নিষ্রয়োজন হইবে না যে তিনি বাংলা ১৯



Leave a Comment