সমুদ্র-যাত্রা | Samudra-yatra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
-__আশ্চর্য! শুনতে পাচ্ছিস না? অমন AB! -_ না, বেশ, ওটা কী? দিন দুপুরে ঝিঝি ডাকে না-_ না হয় ডাকলই, তো কী? -__ঝিঝি নয় ওটা। আমাদের সবাইকার, সারেদের, পিওনদের, ছেলেদের সবাই সারাদিন যত কথা বলে, হইচই করে সব রেকর্ড করা রয়েছে। — St করে বুঝলি আমাদেরই। অন্যকিছুরও তো হতে পারে! — Bey কিছু? ধর ভূত!-_ বলেই Ae] উঠে দাঁড়াল। -_-ভূত TI— আমি জোর দিয়ে বলি, ভৃত-টুত নয়-- আমি হেডসারের গলা মাঝে মাঝে চিনতে পারি, অবিনাশবাবুর, তমোনাশদার, ফার্স্টক্লাসের বিজয়মুকুলদা আর তথাগতদা ডিবেট করছিল একদিন। আমরা বাড়ি চলে যাই, আমাদের গলা থেকে যায়। _ পুলুর চোখে অস্বস্তি, বলল-_ তুই শুনতে চাস শোন, আমি চললুম। দোতলায় হচ্ছিল আমাদের ক্লাস। রুম নাম্বার ইলেভেন। পুলু চলে গেল, আমি বসেই রইলুম। কান পেতে শুনছি, বোঝবার চেষ্টা করছি। ক্রমে যেন ধ্বনি পরতের পর পরত খুলে যায়, খুব পাতলা পরতগুলো, একটার সঙ্গে আরেকটা জোড়া, ক্রমেই ভেতরের পরতের দিকে যেতে থাকি। আশ্চর্য হয়ে শুনি মেয়েদের গলার আওয়াজ। ভারী, সরু, মিঠে। সরু গলার চিৎকার, ভারী গলার ধমক। সবই কিন্তু খুব আবছা। কী এগুলো? আমাদের স্কুলে ভোর সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে দশটা মেয়েদের ক্লাস হয়। সেই আওয়াজগুলো কি এখনও রয়ে গেছে! তার মানে আজকের, গতকালের, HAGA, অনেক বছর আগেকার ধ্বনিরাও রয়ে গেছে? রয়ে যায়? এই সময়ে পুলু হাতে খাতা নিয়ে ফিরে আসে। ভয়-ভয় গলায় বলে-_ এই সমু। আমি সিড়ি দিয়ে নামতে পারছি না। ভয় করছে, চল, আমার সঙ্গে চল, লক্ষ্মীটি। -_-ভয়? কেন? ১৮



Leave a Comment