পরীযান ও অন্যান্য গল্প | Parijan O Anyanya Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বড় কষ্ট হয় দাদা, মা মরি গেলেও অত কষ্ট পাইনি...। পঞ্চায়েতী বীধ নয়-__সর্টকাট পথ ধরেছে মুচিয়া। হাতে তেল শিশি। শিশির মুখে ASM বাঁধা। চলার সাথে সাথে নড়ছে। আসার সময় হাণ্ডরি বলেছে, তেল নুন মরিচ কিছু নেই। চালের হাঁড়িও ফাঁকা। খলখপ সাঁঝবেলায় ফিরলে তবে আবার জাউভাত চড়বে। এই রাস্তায় পরীযান গিয়েছে দুপুরে। এখন শূনো কোন চিহ্ন নেই। তবু, মুচিয়ার মনে হয়, সুরেন জানা যেন হেঁটে যাচ্ছে আগে, ছ'বেহারার গলায় অশ্লীল সুর, (চাল ভাজা তিলে খাজা/ ব্য রাত বৌয়ের হাত/ হেই আ হে'ও হৈ আ হো-ও-ও হৈ-ই-ই-হা হো- ও-ও-ও) হাত পা নাড়িয়ে ছুটে Awa! চুপটি করে বর-বউ বসে আছে সামনে। কাঠের ফুল আঁকা সিংহাসন। দু'মুখ খোলা পরীযানে শ্লিকের ঝালর। ঝালরের গায়ে পুঁতির কাজ। ভুলভুল করে গন্ধ বেরুচ্ছে আতরের। মাঠের গন্ধের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে সেই সুগন্ধ। হাঁটতে হাটতে হোঁচট খায় মুচিয়া। ময়নার ফ্যাকাশে সিঁথির কথা মনে পড়ে। শীখার উপরে ময়লা জমেছে। গলার BONS জাগানো। হাটের মধ্যে পিয়ন তাকে খুঁজে পেতে একটা পোষ্টকার্ড দেয়। বড় বড় অক্ষরে লেখা নিষ্ঠুর কতকগুলো কথা। ময়নার স্বামী লিখেছে। এ চিঠি সে কি করে ময়নাকে দেবে? যদি নিজেকে শেয করে ফেলে মেয়েটা। বিশুকে কে দেখবে তখন? সে জ্ঞানে তাঁতী বাড়ির ময়না বড় অভিমানী। অল্পতেই আগাছার মতো উপড়ে দেবে নিজেকে। সন্ধ্যা নামছিল। সস্তায় নোনা মাছ পেয়েছে একটা। বহুদিন আঁশ জলের স্বাদ পায়নি। মুরালীমোহনবাবুর মেয়ের বিয়েতে খাসী কাটা হয়েছে ব্রিশটা। পুরো দাউদপুর খাওয়াবে | জোরে জোরে পা চালায় সে। বৌ নিয়ে এই পথেই পরীযান ফিরবে। ফাঁকা মাঠের মধ্যে অন্ধকার বিছিয়ে দিচ্ছে শরীর। এই অবস্থায় পরীযান দেখা মানে ভূত দেখা। এর থেকে কাঁটার ঝোপে লাফিয়ে পড়া সহজ। বাজার গব গব করছিল মুরালীমোহনবাবুর সুনামে। সুরেন জানার পা যেন মাটির এক বিঘোং উপরে পড়ছে। সবাই বলছে, অমন সাজানো গোছানো পরীযান অনেকদিন দেখেনি CRC | নোনা মাছের স্বাদই আলাদা! হাগুরি বলল, যা না দাদা, ময়নাদিকে ডাকি আন। adr বহুদিন face মাছ মাছ করথিলা। আজ ওর মেনকে খাইতে Tat মোর দুয়ারে। চিঠির কথাগুলো ভুলে গিয়েছিল মুচিয়া। ঘরের চালা থেকে ভাজ করা পোষ্টকার্ডটা এনে আর একবার ATS | কানের পাশটা গরম হয়ে ওঠে Aca ধীরে। পোষ্টাপিসে গিয়ে পোষ্টকার্ড না কিনে ফিরে এসেছে সে। কি হবে আর পোষ্টকার্ডে? হাগুরি আর একবার বলে কথাটা। তখন নোনা খালের ধারে হাউউ ফোটে, কোলাহল ভেসে আসে মানুষের। -_হা ANAM আসেটে। কান খাড়া করে অন্ধকারে তাকিয়ে থাকে হাগুরি। ১৮



Leave a Comment