বাংলা সাহিত্যে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ | Bangla Sahitye Muhammad Shahidullah

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কাধ্য-[ও হন। এই সময়ে তাঁহাকে ইউরোপ হইতে Comparative Philology-7 কিছু বই আনাইতে হইয়াছিল, সম্ভবতঃ ১৯১১ কি ১৯১২ সালে । যতদুর মনে হইতেছে, কলিকাতার কলেজ Bro ৪. K. Lahiri & 00০-র দোকানের WITS তিনি বিলাত হইতে এই-সকল বই আনান | এবং একদিন বিকালে ৪ K. 1,8173-র দোকানে তাহাকে আমি দেখি-_তিনি এই বইগুলি লইতে আসিয়া- ছিলেন | Comparative Philology-a সম্বন্ধে আমারও মনে প্রবল আকর্ষণ ও আকাঙ্ক্ষা ছিল-_-সহজেই সমানধর্ম বলিয়া ডক্টর শহীছুল্লাহের প্রতি আকৃষ্ট না হইয়া পারিলাম না। তাহার সহিত আলাপ করিয়। একটি বিশেষ শিক্ষিত 'ও মাজিত মনের পরিচয় পাইলাম, এবং তিনিও আমাকে aces মতন দ্বেখিতে লাগিলেন 1 তারপর তিনি যথাকালে এম-এ পাস Sha গেলেন, বোধ হয় সঙ্গে- সঙ্গে আইন পরীক্ষাতেও পাস করেন, এবং এম-এ বি-এল্‌ হইয়া কোথায় যেন ওকালতি আরম্ভ করিলেন। বোধ aq পরে কলিকাতায় আসিবারও অভিলাষ fan কিন্তু তাহার মন ছিল বিদ্যাচর্চার দিকে, পঠন-পাঠন এবং গবেষণার দিকে | ওকালতিতে তিনি পসার জমাইতে বা মন বসাইতে পারিলেন না। স্যর আস্ততোষ তাঁহার গুণগ্রাহী ছিলেন, এবং ডক্টর শহীদুল্লাহ -ও Breer মুখোপাধ্যায়কে নিজের হিতৈযী গুরুর মত দেখিতেন। স্যর আস্ততোষ-ই তাহাকে বিদ্যার সাধনায় আত্মনিয়োজিত হইতে উপদেশ দেন। এইভাবে শহীছুল্লাহ্‌, সাহেব লক্ষ্মীর রত্বভাণডার ত্যাগ করিয়| সরম্বতীর পুষ্পোদ্যানে স্থান লাভ করিলেন, এবং তাহার ফলে বাঙ্গালীর তথা ভারতবাসীর মানসিক উৎকর্ষের পক্ষে বিশেষ লাভ এবং উপকার হইল। শহীছুল্লাহ্‌ সাহেবকে Humanities বা মানবিকী বিদ্যায়,অর্থাৎ ভাষা সাহিত্য ইতিহাস অর্থনীতি রাজনীতি ধর্ম দশন আধ্যাত্মিকতার সাধন এবং রস অর্থাৎ শাশ্বত সত্তার মধ্যে নিহিত যে আনন্দের অনুভূতি-_-এই-সব বিষয়ে তিনি একজন সর্বদ্কর আচা্যের পর্যায়ে উন্নীত হইয়াছেন। আগেই বলিয়াছি, অধ্যাপক শহীছুল্লাহের কর্মজীবনে চমকপ্রদ বা চটকদার কিছু পাওয়া যাইবে ai তিনি আজীবন জ্ঞানের সাধন! করিয়৷ আসিয়াছেন, এবং ইসলামের Vel সাধকগণের নির্দিষ্ট সাধনমার্গে আধ্যাত্মিকতার উপলকব্ধি-ও তাঁহার জীবনের অন্যতম প্রধান কাম্য হইয়া আছে। এ বিষয়ে তাঁহার সহিত ব্যক্তিগত আলাপে আমার এই ধারণা দাড়াইয়াছে। তাহার শিক্ষা ও কর্মজীবনের কথা আমি বলিব না, এবং সমস্ত খুটিনাটিও আমার জানা নাই। তবে আমি বরাবরই ভাষাতত্ব ও সাহিত্যের আলোচনার ক্ষেত্রে তাহার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি অর্থাৎ [১১]



Leave a Comment