দশকুমার চরিত [সংস্করণ-১] | Dashakumar Charit [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যে আছে FAS. যেখানে যে আছে রাজন, সবাই আহুত হলেন। আনন্দিত আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল মহারাণীর সীমন্ত- মহোৎসব | একদা সভায় সিংহাসনে সমাসীন রয়েছেন গুণাধীশ রাজইংস এবং তাকে বেষ্টন ক'রে রয়েছেন Farad, মন্ত্রিপুত্রের এবং পুরোহিত, এমন সময় ছদ্বারপাল ললাটে বদ্ধাপ্জলি ae ক'রে নিবেদন করল, “হে দেব, মহারাজের দর্শন-কামনায় জনৈক সাধু দ্বারদেশে উপস্থিত হয়েছেন | তিনি পূজার যোগ্য ।” অনুমতি এল ৷ সেই সংযমী সাধুটে তখন ধীরে নীত হলেন রাজসমক্ষে সভায় ৷ সাধুটির গতিভঙ্গি দেখেই রাজহংস তখনি বুঝে নিলেন সমস্ত ব্যাপার | ইঙ্গিতে Hefes হ'ল সমস্ত অনুচর ৷ কেবল সভায় TH গেলেন মন্ত্রীরা। সাধুটি আর কেউ নয়, ছদ্মবেশী এক গুপ্চচর | তার প্রণাম শেষ হ'ল । মুদু হেসে তাকে রাজহংস জিজ্ঞাস) করলেন, “ওহে তাপস, দেশ-দেশাস্তর তো তুমি ঘুরে €লে ছদ্মবেশে ; কী সংবাদ সংগ্রহ ক'রে আনলে ?_ দ্বিধা Wal না বলতে ।” বন্কিম হয়ে গেল গুপ্তচরের GI ললাটে একটি চিন্তার রেখা ফুটিয়ে তুলে অঞ্জলি রচনা ক'রে সে বললে ঃ “মহারাজের আদেশ শিরোধার্ধ ক'রে নির্দোষ তাপসবেশে-_আমি মালবেন্দ্রনগরে প্রবেশ করেছিলুম | সেখানে নিতান্ত গুপ্তভাবে অবস্থান ক'রে, আমি মালবরাজের জ্ঞাতধ্য যাবতীয় বৃত্তান্ত বিশদ্‌ অবগত হয়ে তবে ফিরে এসেছি | এতকাল মানসার পরাজয় স্বীকার ক'রে প্রবল নৈরাষ্যের ভিতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। দেহের সমস্ত কষ্ট মন থেকে নির্দয়ভাবে দূর ক'রে দিয়ে মহাকাল-নিবাসী কালী-বিলাসী অনশ্বর মহেশ্বরের আরাধনায় এত কাল ছিলেন agi কিন্তু মহারাজ Brass এত দিনে মানসার তুষ্ট করতে পেরেছেন মহেশ্বরকে | ১৭



Leave a Comment