For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এক দীর্ঘ রচনা লিখেছিলেন কলাবতী। নাম দিয়েছিলেন — খেলাঘর | আজ সেসব
কথা বার বার মনে পড়ছে। কলাবতী তোরঙ্গ খুলে তার লেখা বের BAA | অতীত
রোমদ্থবন চলে তারপর | মোহগ্রস্তের মতো কলাবতী পড়তে থাকেন-_
কলাবতীর পুতুল-রাজ্যে রাজা-রানী, রাজকুমার-রাজকন্যা, উজির-নাজির, মন্ত্রী,
লোক-লস্কর, সবই ছিল। তারা রাজ্যের নিয়মানুযায়ী খেলাড়ীদের প্রাণপ্রাচুর্যে চালিত
হতো | পুতুল-রাজ্যে ত্রিপুরী, বাঙ্গালী, মণিপুরী, নেপালী, হিন্দী বহু ভাষার ও সংস্কৃতির
মিলন ঘটেছিল।
রাজবাড়ির নিয়মের অনুকরণে প্রথমে মালি এসে ঘন্টায় আঘাত HCA | কলরবে
খেলা শুরু হয়ে যায়।
একটি মেয়ে পুতুলদুয়ারী সেজে দরজা খুলে জিজ্ঞেস করে, কি কি এনেছো?
মালি-পুতুল হাতে আরেকটি মেয়ে ডালা নামিয়ে বলে, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো,
করুল, ঝিঙ্গা, ঢেড়স, সিম।
ওমা, বারমাসের সজ্জী এনেছো যে। পান সুপারি আন নি?
মালি-পুতুলধারিনী বলে,আমি তা আনবো কেন? ও তো বাজার সরকার আনবে।
দুয়ারী ডাকেন, ও AVE, বাগানের সবজী এসেছে, মাইদেবতাকে দেখাও
(মানে মাতামহারানীকে)।
পঞ্চলম্ষ্মী নামধারিনী আরেকজন এসে সবজি নিয়ে AA | পঞ্চলশ্দ্মীর সাজ ত্রিপুরী
মেয়েদের মতো। হাতের PICS চওড়া ASH, নাকে কলি নাকফুল), বালি (নাকের
গহনা), কানে SA, তাখুম। গলায় টাকার মালা, খোঁপায় গীদা ফুল, বুকে বাঁধা রিয়া,
খাটো করে পরা হাতেবোনা পাছড়া।
বিজলীদুয়ারীর সাজ ছিল অন্তঃপুরিকাদের মতো। তিনবেড় দুবরা পরেছিলেন
তাজদিয়ে দিয়ে, খাটো হাতা ব্লাউজ, চাদর গায়ে ছিল। কোমরে ঝোলানো ছিল একগুচ্ছ
চাবি। প্রতিদিন সকালে তিনিই অষ্তঃপুরের দরজা খোলেন।
সবজি দেখে রানী বলেন, রীধুনীকে WHF |
মণিপুরী মেয়ের বেশে রীধুনী হাজির | তার নাম লৈপাকলৈ, কি চমৎকার নাম-_
মাটির ফুল |
রানীপুতুল বলেন, আজ কি কি রান্না হবে?
রাধুনী-_ করুল পীঠালি, মাছের ঝোল, ইরম্বা-_
আরে হয়েছে হয়েছে, আর বলতে হবে না। রানী বলেন, রোজ রোজ STAM |
১৮