বৈষ্ণব কবিতা | Baishnab Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 বৈষ্ণব কবিতা £ দার্শনিক ভিত্তি ও কাব্য-বিশ্লেষণ বৈষ্ণব ধর্মের শক্তি বলরূপিণী নয়--প্রেমরপিণী। তাহাতে ভগবানের সহিত জগতের যে-দ্বৈতবিভাগ স্বীকার করে, তাহ! প্রেমের বিভাগ--আনন্দের বিভাগ; তিনি বল ও এশ্বর্য বিস্তারের জন্য শক্তি প্রয়োগ করেন না- তাহার শক্তি স্ষ্টির মধ্যে নিজেতে নিজে আনন্দিত হইতেছে। এই বিভাগের মধ্যে তাহার নিয়ত মিলনরূপ প্রতিষ্ঠিত । শাক্তধর্মে অনুগ্রহের নিশ্চিত ara | বৈষ্ণনধর্মে প্রেমের নিশ্চিত aval শক্তির লীলায় কে পায়, কে না পায় তাহার ঠিকানা নাই। কিন্ত বৈষ্ণব ধর্মে প্রেমের বিকাশ যেখানে, সেখানে সকলেরই নিত্য দাবি। “te ধর্ম ভেদকেই প্রাধান্য দিয়াছে- বৈষ্ণবধর্মে এই ভেদকে নিত্য মিলনের নিত্য উপায় বলিয়া স্বীকার করিয়াছে ।-_রবীন্দ্রনাথ | কাজেই আদর্শের দিক হইতে বৈষ্ণবের ভক্তি শাক্তের ভক্তি হইতে উচ্চস্তরের। অন্ততঃ আদর্শের দিক দিয়া বিচার করিলেও বৈষ্ণব- কাব্য যে,, মঙ্গলকাব্যকে TAGS করিয়াছিল ইহাতে কোন সংশয় নাই। এ যুগের বাঙ্গালী যে, শ্রদ্ধাসহকারে “মঙ্গলচণ্ডী বিষহ্রির গীত' শুনিত তাহা শুধু ধর্মের জন্য নয়, মঙ্গলকাব্যগুলি তাহাদের প্রাণে আনন্দেরও সঞ্চার করিত । বৈষ্ণবকাব্য উদ্দেশ্যহীন আনন্দের যোগান দিয়া বাঙ্গালীর চিত্ত অধিকার fra নিল। বৈষ্ণব পদাবলীকে দুইটি স্পষ্ট ভাগে বিভক্ত করা যায়-প্রাক্‌- চৈতন্য যুগের বৈষ্ণবকাব্য এবং চৈতন্যোত্তর যুগের বৈষ্ণব কাব্য। চৈতন্তযের পূর্ববর্তীকালের বৈষ্ণবকাব্যে রাধা-কষ্ের প্রেমলীলার cy স্বরূপটি আমরা লক্ষ্য করি তাহাতে বৈষ্ণব ধর্মের মহান আদর্শ প্রায় অনুপস্থিত | কিন্তু চৈতন্তোত্তর যুগে এ আদর্শ ও wee কাব্যের আধারে বিধৃত হইয়াছে। এ যুগের কবিরা চৈতন্তদেবের স্বগায়.



Leave a Comment