কুশী-প্রাঙ্গনের চিঠি [সংস্করণ-১] | Kushi Pranganer Chithi [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছুজনে উপস্থিত হলে শাপ দিলেন--'তোরা ছুই বোনে নদীক্মূপ গ্রহণ করে পরস্পর হতে এত সুদুর হয়ে পড়বি যে, আর সাক্ষাৎকার হবে Wore থেকে CAMA আর কমলা এই দুই বোনের মাঝখানে সুদূর ব্যবধান। শুধু অনেক কান্নাকাটির প্র aft যে ক্বপাপরবশ হয়েছিলেন, তাইতে তারই বিধানমতো কৌশিকী শত বৎসরে একবার করে যান পশ্চিমে কমলার দিকে এগিয়ে--দুই বোনের দেখা wT ওঁদের মিলনের তৈরব আনন্দে অধ মিথিলা সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে...” অন্নদাবাবুর কাহিনীও বেশ কৌতুকজনক-_ কুশীর মূল কাব্য নয়, তবু কুশী-প্রাঙ্গণেরই এক টুকরা কাহিনী বলে, আর পণ্ডিতজীও কাব্যের মুখেই বলে যাচ্ছেন বলে আমার কাছে তারই একটা প্রক্ষিপ্ত অংশ বলে মনে হচ্ছে। আরও তালো লাগছে এইজল্পে a. একেবারে গোড়ায় যে বাঙালীর প্লেচ্ছাচার নিয়ে পণ্ডিতজীর একটা বিরাগের ভাব জেগে উঠেছিল, সেটা একেবারেই কেটে যাওয়ায় কাহিনীর কৌতুকের দিকটায় ঝৌক বেশি দিয়েছেন।---একেবারে fer প্র্কতির এক দম্পতি, Stora গৃহস্থালী অল্পপূর্ণা-শিবের গৃহস্থালীর মতনই বিচিত্র অসামঞ্জস্তের বর্ণসায় চতুম্পাঠীর মুক্ত হাসি উঠে গাড়ির শব্দের ওপরও পড়ছে ছড়িয়ে । সেকালের আধার্থেঁচড়া ইংরাজী জানা নীলকুঠির বাবু ছিলেন war 'চাটুনি” । অসম্পূর্ণ হলেও ইংরাজী পড়ার দোষগুলো ঢুকেছিল পুরোপুরি, বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার অনাচারে, wry একেবারে নিষিদ্ধটা বাদ দিয়ে । ওদিকে Sa স্ত্রী ছিলেন পরম নিষ্ঠাৰবতী, ধর্মপ্রাণা হিন্দু রমণী-_ qs, শাস্তি-স্বস্ত্যয়নাদি করে স্বামীকে অনেক রকমে শোধরাবার চেষ্টা করলেন, না পেরে শেষকালে বাড়ি থেকে দিলেন বের করে। আসল বাসা থেকে খানিকটা দূরে ভার একটা ঘর উঠল, নির্বাসিত অন্রদাবাবু সেইথানেই থাকেন, সেইথান থেকে অফিস যান, স্ত্রীর সঙ্গে নিতাস্ত কোন প্রয়োজন হোলে বলে পাঠান, হুকুম এলে বাড়ির দরজায় গিয়ে দাড়ান, স্ত্রীও একটা দাসীকে সঙ্গে করে দরজার আড়ালে দাড়ান, ৬



Leave a Comment