রক্তকরবীর তত্ত্ব ও তাৎপর্য | Raktakarabir Tattwa O Tathparjya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
উপক্রমণিকা ৫ বিশিষ্ট মতের সীমাবন্ধন অতিক্রম করে তাদের চাল-চলন কথাবর্তায় CANIS বা বৃত্তিগত সংকেতের ইসারা নাটকে সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। তারা একদিকে যেমন ব্যক্তি; অন্যদিকে ।তেমনি তারা! প্রতীকী । তাদের প্রতীকীসত্তা ও বাস্তবসত্ত! পরষ্পরকে মানবিকও সামাজিক তাংপর্ধের দিক্‌ থেকে সমৃদ্ধ করছে | অবশ্য শেক্স্পীয়র-এর নাট্যচরিত্রের প্রতীকী ব্যঞ্জীনা নিশ্চয় বিশ্লেষণে ধরা পড়ে, কিন্তু এ দিক্টা অপ্রধান ; জীবনের Talal ছকে এর গুরুত্ব অল্প; চরিত্রের প্রতীকী-তাৎপর্য বাস্তব সতাকে পূর্ণতর করতে সাহায্য করে মাত্র। শেহ্বীয় নাটকের সংলাপাংশে প্রত্যেকটি চরিত্রের সাংকেতিক তাৎপর্য অনেক সময়ে অসহনীয়ভাবে প্রকট; চরিত্রের ব্যক্তি-বৈশিষ্ট্য মতপ্রকাশের প্রগল্ভতায় প্রচ্ছন্ন। অপর দিকে রবীন্দ্রনাথের প্রকৃত রূপক-নাটো্য অর্থাৎ “ফাল্গুনী” “রাজ, “থ৭৭শোধ' প্রভৃতিতে--চরিত্রের সমাজ-বাস্তবতা রূপকের ব্যঞ্জনায় অভিভূত। এখানে কাবা্ডুৃতিই নাটকে গতি সঞ্চার করে; যে স্বপ্নলোকের মায়া এদের কল্পজগতে দিক্চক্রবালের মত দিগন্তে ঝিলমিল করে, তা আমাদের সম্যক অবধারণার বাইরে, সহজে নাগাল পাওয়া যায় না। কিন্তু “মুক্তধার'র ও বিশেষ করে “রক্তকরবী”-র প্রতীকী আবেদন বাস্তবের ওপর নির্ভরশীল; বাস্তবকে অবধারণ করলেই তার Beal অধিগম্য হয়। এদের প্রত্যেকটি চরিত্রে এবং ঘটনায় বাস্তবরূপের সঙ্গে সাংকেতিক ইঙ্গিতের সংমিশ্রণ বিশেষ তাবে অর্থপূর্ণ। একদিকে সংসারের পরিচিত রঙ্গমঞ্চে এদের মানবিক লাপ ও সংশ্লেষ আমাদের মনে আবেগ সঞ্চার ও রস WE SH; অপরদিকে এদের হাবভাব ও আলাপ-আলোচন। একট অনববারণীয় আসনম্নতার আভাস দেয়। এই ধরণের AWTS সমকালীন বাস্তবতা ও ভাবীকালের 'সম্ভাবন] অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশে আছে । ব্যক্তি হিসাবে এরা কালের সীমাবদ্ধনে বন্দী, অথচ এরা প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দেয় এরা! আগামী কালের অগ্রদূত |



Leave a Comment