মন ও মানুষ [ভাগ-৩] [সংস্করণ-২] | Man O Manush [Pt. 3] [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ মন ও মানুষ খোঁজাখুজি ক'রে সেখানকার নবাবের প্রাইভেট সেক্রেটারী মন্সুখরাম- সূর্যরাম-ত্রিপাঠীর বাড়ীতে হাজির হলাম। ব্রিপাঠী-মহাশয় একজন গুজরাটী ব্রাহ্মণ, অমায়িক Carrs! তার বাড়ীতে গিয়ে দেখি আমাদের স্বামীজী (বিবেকানন্দ) বসে আছেন। ব্রিপাঠী-মহাশয়ের সঙ্গে তিনি তখন সংস্কৃতে বেদাস্তের বিচার করছিলেন। আমায় অপ্রত্যাশিতভাবে দেখে স্বামীজী আনন্দে চিৎকার ক'রে উঠলেন। তিনি আমাকে দেখিয়ে ব্রিপাঠী-মহাশয়কে বল্লেন ঃ “ইনি আমার গুরুভাই, একজন অদ্বিতীয় বেদাত্ভী। আপনি এঁর সঙ্গে বেদাস্তের বিচার Sra! আমি ধুলোপায়েই বসে গেলাম বিচার করতে। অনেক দিন পরে স্বামীজীকে দেখে মনে কি যে আনন্দ হ'ল তা' আর ব'লে বোঝানোর নয়। স্বামীজী হাসিমুখে একপাশে বসে আমাদের বিচার শুন্ছিলেন। শাস্ত-স্থির- মুদ্রিত নয়ন। ব্রিপাঠীমহাশয়ের সঙ্গে আমি অনর্গল সংস্কৃতভাষায় অদ্বৈতবেদাস্তের নানান্‌ জটিল বিষয় নিয়ে বিচার করতে লাগ্লাম। স্বামীজীর মুখে আনন্দ আর ধরে না। ব্রিপাঠীমহাশয়ও খুব খুসী হ'য়ে আমাদের আদর- যত্ন করেছিলেন। জুনাগড়ে বহু দিন পরে স্বামীজীর সঙ্গে আবার নানান্‌ কথা নিয়ে আলাপ-আলোচনা VA | বরানগর-মঠের কথাও জিজ্ঞাসা করলেন তিনি। কোনও-একটি কারণে খুব দুঃখ করলেন। দু'চার দিন পরে স্বামীজী আবার বোম্বাইয়ের দিকে রওনা হলেন। আমিও ত্রিপাঠীমশায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দ্বারকার দিকে যাত্রা করলাম। বহুদিন পরে মিলনের পর আবার আমাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হ'ল। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম ? '“দ্বারকা থেকেই ফিরেছিলেন, না--আর কোথাও গিয়েছিলেন ?' স্বামীজী TAG ঃ 'ফির্বো কেন? দ্বারকার মন্দির প্রভৃতি দেখে প্রভাসতীর্থে গেলাম। সেখান থেকে জাহাজে ক'রে বোম্বাই ও পরে মহাবালেশ্বর যাই। মহাবালেশ্বরে নরোত্তম মুরারজী গোকুলদাসের বাড়ীতে উঠে দেখি বসে আছেন আমাদের স্বামীজী.-_সেই, নরেন্দ্রনাথ। খুব তো একচোট হাসাহাসি হ'ল। তারপর স্বামীজী বল্লেন £ “বেশ বাবা, তুমি আমার পিছু নিয়েছ দেখ্‌ছি।' আমি বল্লাম £ Wl কেন? আমি আমার মতো চলেছি, তুমি তোমার মতো চলেছ। কিন্তু তুমি যে আবার এখানে হাজির হবে তা” আমি ক্যামন ক'রে জান্বো বলো?' OP MAT সেখানে কাটিয়ে তার পরের দিন আমি পুণার দিকে বেরিয়ে পড়ুলাম। স্বামীজী সেখানেই থেকে গেলেন। তখনও তিনি নিজেকে 'সচ্চিদানন্দ* এই ছদ্মনামেহ পরিচয় দিতেন।



Leave a Comment