বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না [সংস্করণ-১] | Buddhite Jar Byakhya Chale Na [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না এমন কি, অন্ধকারের সম্ভাব্য বিপদটাও যেন কখন নিঃংশেষে মুছে গেল মন থেকে | প্রিয়নাথ কোন কথা বলছে না-আমিও না। নিঃশব্দে প্রায় পনেরে। মিনিট চলবার পর হঠাৎ দূর থেকে জলের একটা উগ্র গর্জন শোনা গেল | আমি চমকে বললুম, “ওকি-সথোয়াইতে বান এল নাকি ?” এইবারে বিচিত্র ব্যাপার ঘটল একটা। প্রিয়নাথ আমার কথায় জবাব দিলে। কিন্তু পেছনের ক্যারিয়ার থেকে নয়। পরম বিস্ময়ে দেখলুম, আমার সাইকেল থেকে পনেরো BAS সম্মুখে FAs বাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রিয়নাথ। হ্যা, অন্ধকারেও দেখতে পেলুম, প্রিয়নাথই দীড়িয়ে রয়েছে। প্রিয়নাথ ডেকে বলল, ‘A সেন, নামো। বানের জলে খোয়াইয়ের পচা কাঠের পুলটা ভেসে গেছে। আর এগোলো খাড়া ত্রিশ-হাত নিচে আছড়ে পড়বে ।” মুহূর্তের মধ্যে সারা শরীরে আমার বিদ্যুৎ বয়ে গেল। কখন ক্যারিয়ার থেকে নামল প্রিয়নাথ, কখনই বা এমন করে পনেরো হাত দৌড়ে গেল সে !! সাইকেলের গঙি মন্দা করতে করতে আমার শুনলুম, “এখনও নামো সেন, এখনও নামো। নইলে আমার যা হয়েছে, সে দশা তোমারও হবে |’ ক*সেকেঞ্ডের মধ্যে সবটা ঘটল জানি না। দেখলুম, প্রিয়নাথের 'চোখ-দুটো জ্বলে উঠঠল। তারপর যেন করোটির কোটর ছেড়ে সে-দুটো চোখ তীক্ষ উজ্জ্বল আলোর মত উড়ে আসতে লাগল আমার দিকে | যেন PH PACA দুটো অতিকায় পতঙ্গ । পরদিন সকালে আমাকে পাওয়া গেল রাস্ত'র ওপরে, সাইকেলটাকে জড়িয়ে ধরে আমি পড়েছিপুম। আর প্রিয়নাথকে পাওয়া গেল ভাঙা পুল থেকে তেইশ-চনি্বিশ হাত নিচে, আরও তিন-চার ফুট জলকাদার তলায়। ওপর দিকে পা-দুটো তুলে তার পেট পর্যন্ত প্রায় কাদার মধ্যে গীথা-- ভাঙা সাইকেলটা খানিক দূরে একখানা বড় পাথরের ওপরে ঝুলে রয়েছে।



Leave a Comment