রহস্য গোয়েন্দা অমনিবাস | Rahasya Goyenda Amnibus

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গোরা টান টান হয়ে উঠে দাঁড়াল এবার। বলল, “তুই ঠিক বলেছিস গোপা। ব্যাপারটা খুবই রহস্যময়। ওখানে আমার না যাওয়াটাই উচিত 1” “এবং আমাদেরও উচিত এখন থেকে তোমার বাড়িতে আমাদের একটা নিয়মিত আড্ডার ব্যবস্থা করা।” গোরা বলল, “তাই কর। তা যদি হয় তা.হলে আমাকে আর একা থাকতে হয় না। “বোর” লাগবে না।” “বুঝতে পেরেছি। একা থেকে থেকেই তোমার অলস মস্তিষ্কে এইরকম চাকরির ভূত চেপেছে। একটা পাস তুমি করেছ ঠিকই। অস্তত গ্র্যাজুয়েট হতে না পারলে এই কমপিটিশনের মার্কেটে তুমি তো একটা মূর্খের সমান” গোরা এবার নিজের মনের সঙ্গে অনেক বোঝাপড়া করে স্থির একটা সিদ্ধাস্তে এসে বিকেলবেলা আবার স্লেহদিদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। শ্লেহদি বললেন, “কী ব্যাপার গোরা্টাদ? দুপুরে এসে আবার এখন এলি যে? বুঝেছি তোকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসবার জন্য আমাকেও যেতে হবে তাই তো?” গোরা বলল, “না স্লেহদি। শৈলেনদাকে বারণ করে দাও আমার জন্য টিকিট কাটতে হবে না। আমি যাচ্ছি না।” “সে কী! কেন?” “আমার মনটা ঠিক সায় দিচ্ছে at” “কেউ কিছু উন্টোপাণ্টা বুঝিয়েছে বুঝি?” “না, ঠিক তা নয়।” “তবে?” গোরা তখন সব বলল। CHa বললেন, “ওরে পাগল, জীবনে ঘর না ছাড়লে উন্নতি হবে কী করে? তোর চেয়েও কত ছোট ছোট ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে জীবনে উন্নতি করেছে। তোর ক্ষতি হয় এমন কিছু কি আমি ভাবতে পারি? গোবিন্দর গো” আর রাধার “রা' এই নিয়ে গোরা। তোর এ নাম তো আমিই রেখেছি। কাজেই আমি যেখানে যেতে বলছি তোকে সেখানে তুই অন্য মত করিস না। তোকে যে যা বলেছেন বা বলেছে তা সবই ঠিক। আমিও বলছি লেখাপড়া ছেড়ে আর কিছু তুই করিস না। তোর দেশভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। রাজগীর, বেনারস, পুরী, দেওঘর-_বাবা মায়ের সঙ্গে অনেকবার গেছিস তুই, তাই Ga জার্নি তোর কাছে ভয়াবহ নয়। সদাশিববাবু তোর বাবার বন্ধু । তিনি কী বুঝে তোর জন্য এইরকম একটা ব্যবস্থা করেছেন, কেনই বা করেছেন অ আমরা কেউই জানি না। ওই কাজ যে তোর পক্ষে সম্ভব হবে না তাও জানি। কিছুদিনের মধ্যেই ওখান থেকে তুই যে পালিয়ে আসতে পথ পাবি না তাও জানি আমি। তবু তোকে যেতেই হবে। তোর কি ভয় পেলে চলে? একলা যাবার জন্যই যে তুই। আমার কথা শোন, অমত করিস না, তুই যা। কেমন কাজ, কী ধরনের কাজ দেখেই আয় না। বেশিদিন নয়, একমাসের জন্য যা। এতে তোর ভয় ভীতি কাটবে, অভিজ্ঞতা হবে আর একঘেয়েমিও দূর হবে। মাসখানেক থেকে হাওয়া বদল করে আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবি তুই। সবকিছুই তোর বজায় থাকবে। একমাস স্কুল-কলেজ কামাই করলে কোনও ক্ষতিই হবে না তোর।” ৮



1 thought on “Rahasya Goyenda Amnibus”

  1. এটা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বই। ভুল cover page & লেখকের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। সংশোধন প্রয়োজন।

    Reply

Leave a Comment