পুরানো সেই দিনের কথা | Purano Sei Diner Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
Wu হেলির ধুমকেতু WY GRA তখনো দু-এক পৌঁচ অন্ধকার আছে আকাশের গায়ে, তখন আমরা তিন ভাইবোন উঠে তেতলার উত্তর-পূর্ব কোণে গিয়ে উদগ্রীব দৃষ্টি নিয়ে turer এ প্রায় নিত্যকার ঘটন৷ চলছে, অনেক দিন থেকে, হয়তো চলবে আরও অনেকদিন | একজন বলে উঠল, এ যে, এ যে। সকলে আমরা ঝুঁকে পড়লাম | al, না, ওটা মেঘের টুকরো | এবারে দেখো, ওটা হতেই হবে। এবারে অবিশ্বাস ai হলেও পুরে বিশ্বাস নয়। এবারে তিনজনে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলাম, এবারে হতেই ইবে। কারো মুখে প্রতিবাদ নেই, Ve চোখ এক দৃষ্টিতে এক লক্ষ্যে নিবদ্ধ ক্ষীণ স্বচ্ছ একটা কিছু ৷ মেঘ হলে আকার বদলাতো, আকার না বদলালেও যেন একটু একটু করে আয়তনে বাড়ছে | Zl, হ্যা, আর সন্দেহ নেই ধূমকেতুই বটে, বড়দের মুখে শুনেছি, হেলির ধূমকেতু | এবার আমাদের তিনজনের দৃষ্টি একাগ্র হয়ে ধূমকেতুর প্রতি নিবদ্ধ হল । ইতিমধ্যে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গিয়ে বেশ আলো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব কোণে যাকে হাতখানেক লম্বা দেখে মনে হয়, বেলা দশটা নাগাদ সেটা প্রলম্বিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ স্পর্শ করে। ব্যাপার স্বরূপ নিয়ে আমাদের গাঁয়ের নানা মুনির নানা মত। আগে কেউ জানত না গাঁয়ে এতগুলি মুনি আছেন। কেউ বল্লেন, ওটা আসলে ঘটোৎকচ। এবারে কুরুকুল চেপে পড়বে | আরে সে তো দ্বাপর যুগের কথা | আরে বাপু, কলিকালেও কৌরবের অভাব নেই। আর খুলে বলা নিরাপদ নয়, আভাসে বুঝে নাও | অন্য এক মুনি বললেন, ঘটোৎকচ কবে মরে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে | আমর ওসব জানি |



Leave a Comment