পাতাঝরার মরশুমে | Patajharar Marshume

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এখানের সবাই সব বোঝে। কোণের দিকে একটা বেঞ্চে বসে ছিল পুরু। ওর সামনে এসে ধপ করে বসল কুশ। পুরু বেজার মুখে বলল, “এই তোর সাতটা? ফালতু টিউশনটা মিস করলাম। জানিস তো ছাত্রের বাবাটা কেমন বিষাক্ত টাইপের।” কুশ পাত্তাই দিল না, “ছাড় তো। কিচ্ছু হবে না। টিউশন করে কেউ বড়লোক হয় না। তা ছাড়া ছাত্রের মা তো তোর ফেভারে। ওই কাল গিয়ে একটু চুমু খেয়ে নিবি সব সাইজ হয়ে যাবে। আরে আমার লেট হয়ে গেল একটু মাপামাপি করতে গিয়ে।” “মাপামাপি? মানে?” পুরু অবাক। “ওই স্টাডি এড” কোচিং সেন্টারে একটা ব্যাচ শেষ হল তাই মেয়েগুলোকে দেখব বলে অপেক্ষা করছিলাম। ওফ্‌, যা সব মেয়ে আছে না, ডাক ছেড়ে কাদতে ইচ্ছে করে। এত ভাল ভাল পিস কাদের বাড়িতে যাবে রে? কোন রেশনের চাল খায় এরা? এর মধ্যে বিশেষ করে একটা মেয়ে আছে, মাইরি ওর জন্য যুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মেয়েটা কিছুতেই আমায় পাত্তা দেয় না, কেন বল তো?” পুরু হাসল। একবার মণি বলে একটা মেয়েকে পছন্দ হয়েছিল কুশের। মেয়েটা ওকে একদম পাত্তা দিত না। কুশ একদিন সোজা মণির বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। মণির মা দরজা খুলেছিল। কুশ পকেট থেকে একজোড়া সোনার চুড়ি বের করে বলেছিল, “মাসিমা, এই চুড়িদুটো আমার মা আপনার মেয়ের জন্য পাঠিয়েছে। আপনার মেয়ে খালি হাতে রাস্তায় বেরোয়। আমার একদম ভাল লাগে না। আরে আমারও তো একটা প্রেস্টিজ আছে নাকি।” মণির মা এত আশ্চর্য হয়েছিল যে কুশকে থাপ্পড় না মেরে উলটে জিজ্ঞেস করল, “তোমার প্রেস্টিজ মানে? “বা রে, আফটার অল আমার বউ হবে তো।” নির্ভয়ে জবাব দিয়েছিল কুশ। সেদিন খুব জোর ধোলাই খেত ও। IF মোটরবাইকটা ছিল বলে বেঁচে গিয়েছিল। আরেকবারও অন্য একটা মেয়েকে সরাসরি প্রপোজ করতে গিয়ে ১৮



Leave a Comment