ইতিহাসের আলোকে বৈদিক সাহিত্য | Itihaser Aaloke Vaidik Sahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ ইতিহাসের আলোকে বৈদিক সাহিত্য গর্ববোধ ও আত্মতৃপ্তির মোহাচ্ছন্ন উম্মাদনা বৈদিক সাহিত্যের গবেষণাকে স্বপ্রতিষ্ঠ হতে দিল না। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নৃতত্তববিদ, এঁতিহাসিক, ভাষাতাত্তিক, ব্যাকরণবিদ, কোষবিশারদ, লোকপুরাণবিশেষজ্ঞ, দার্শনিক, ধর্মতত্তববিদ প্রমুখ গবেষকরা বৈদিক সাহিত্যের বিচিত্র দিকের উপর আলোকসম্পাত করার ফলেই আমরা আজ বিষয়টিকে সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করতে পারছি। উনিশ শতকের বিদ্যাচ্চার সাধারণ পরিবেশে ওতপ্রোতভাবে যে রোম্যান্টিকতা ছিল, তার প্রভাবও বৈদিক সাহিত্য আলোচনায় দেখা গেছে। তবে এই শতাব্দীর দ্বিতীয়াধেই বৈদিক সাহিত্য রচনায় নতুন এক পরিণত ধারার সূত্রপাত হয়েছে বলা যায়। বৈদিক সাহিত্যের সাম্প্রতিক আলোচনায় চিরাগত কুসংস্কার, পূর্বনির্ধারিত ধারণা কিংবা চেতন বা অবচেতন স্বার্থাত্বেষার ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতে অকারণ নিন্দা বা অহেতুক প্রশংসা বিশেষ দেখা যায় না। প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রেও একধরনের পূর্বনির্দিষ্ট সংস্কার ছিল ; কিন্তু গ্রিস যেখানে সাধারণভাবে স্বাধীন, ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তা না হওয়াতে প্রাচীন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মোহবিস্তারের মানসিক প্রয়োজন একসময়ে যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল । এঁতিহাসিক উপাদান সামান্য হলেও যতটুকু আমরা পেয়েছি, তাকে উপেক্ষা করার ফলে বৈদিক সাহিত্যের আলোচনা একদেশদর্শিতায় SAS | এমন একটা ভুল ধারণা এখনও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে বৈদিক সাহিত্যের কোন বস্তুগত উৎস নেই, শূন্যের মধ্যেই তার সৃষ্টি। অবশ্য সাম্প্রতিক গবেষণার নিরাবেগ ও নির্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বৈদিক সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রেও আমরা এই সত্য ক্রমেই মেনে নিচ্ছি যে নৈতিক মূল্যবোধ ধর্মীয় বিশ্বাস ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকৃতপক্ষে উৎপাদন- পদ্ধতির বিশেষস্তরে বৈদিক জনগোষ্ঠীর বিশেষ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের পরিচয় বহন করছে। তাই আমরা এখন বৈদিক সাহিত্যকে শুধু ধর্মীয় রচনা হিসাবে না দেখে সৃষ্টিধর্মী সাহিত্যরাপেও গ্রহণ করতে পারছি। জনসাধারণের মধ্য থেকে তাদেরই নিগুঢ় অনুপ্রেরণার তাগিদে এই সাহিত্যের জন্ম বলেই জনসাধারণের বৈষয়িক জীবনযাত্রার বিধি দিয়েই তা মূলত নিয়ন্ত্রিত ইন্দো-ইয়োরোপীয় জনগোষ্ঠীর যে শাখা শেষ পর্যন্ত ভারতে পৌছেছিল, ইরানের মধ্য দিয়েই তারা এদেশে আসে। সম্ভবত, সেই সময় তারা কাসাইট্দের প্রতিবেশী রূপে কিছুকাল কাটিয়েছিল--_এই কাসাইট্‌ শাখা বস্তুত ইন্দো-ইয়োরোপীয়দের সেই গোষ্ঠী যারা মূল TANS থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে fata যোড়শ শতকের কাছাকাছি সময়ে ইরানে বসতি স্থাপন করে। গবেষকরা আরও বলেন যে fort দ্বিতীয় সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্থে cere ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল ইরান থেকে ভারতবর্ষে নূতন বসতির



Leave a Comment