উত্তরসূরি [বর্ষ-২১] | Uttarsuri [Yr. 21]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শিল্পবিচার ® বলতে কিছুই পাই না কারণ শিল্পীর মধ্যে ইমাজিনেশন জোরালো না হওয়ায় ছবি দেখার পরই তার কথা সম্পূর্ণরূপে ভুলে যেতে হয়। এ ছাড়া অংকন রীতিতে বিভিন্ন মাধ্যমের দ্বারা অংকন প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে বাহাদুরী দেখানো হয়ে থাকে অর্থাৎ নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষার দ্বারা কসরৎ দেখানোর চেষ্টা। রেখা ও রঙের বা অন্য মাধ্যম দ্বারা চিত্রকে বলিষ্ঠ করে তোলবার চেষ্টা রয়েছে। উল্লিখিত প্রচেষ্টাগুলির দ্বারা স্বভাবতই মনে হয়া স্বাভাবিক শিল্পকে বিজ্ঞানের সোপানে তোলবার চেষ্টা করা হচ্ছে। নানা প্রকার আকারের কারখানা করবার পরীক্ষা চলছে, শিল্প স্থষ্টির যে মূল আদর্শ রস রচনা এবং তারই মাধ্যমে যে শিল্প-পরিকল্পনা হওয়া উচিত সেই আদর্শ থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে । তাই দেখা যায় যে শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিষয়বস্তু যা বর্তমানে গৌণরূপে প্রতিভাত হচ্ছে অথচ এর বদলে আকারের বিভিন্ন কর্ম নিয়ে পরাক্ষা নিরীক্ষা চলছে ; অর্থাৎ বলা যেতে পারে যে শিল্পকে তাত্তিক বা নান্দনিক ভাব থেকে দূরে সরিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রকরণকে বড় বেশী মূল্য দেওয়া হচ্ছে। সত্যিকার ললিতকলায় যা থাকা উচিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ চিন্তাধারা, বিন্যাস-ভেদ অর্থাৎ কমপোজিশন ও রস বিচার। কিন্তু এ বিষয়ে খুব বেশী মূল্য না দেওয়ায় আধুনিক চিত্রপদ্ধতি হ'ল খুবই ARG তাই আমরা দেখতে পাই বৃদ্ধবয়সে রবীন্দ্রনাথ ছবি Brace সুরু করলেন এই শআধুনিক পদন্থায়। তিনি ছবি আকার সময় উৎসাহিত হয়ে বলেছেন, “রূপের ছন্দময়তাই রূপের চরম প্রকাশ: অন্যত্র বলেছেন, 'পড়েছি আজ রেখার মায়ায়। কথা ধনীর ঘরের মেয়ে, অর্থ আনে সঙ্গে করে, মুখরার মন রাখতে চিন্তা করতে হয় বিস্তর। রেখা Reinet, অর্থহীনা, তার সঙ্গে আমার যা ব্যৰ্হার nae নিরর্থক । কথা আমাকে প্রশ্রয় দেয় না, তার কঠিন শাসন। রেখা মামার যথেচ্ছার হাসি, তর্জনী তোলে at ববীন্দ্রনাথ বৃদ্ধবয়সে তার অভিজ্ঞতা থেকে চিত্রকলার আলংকারিক রীতির কথা বলেছেন



Leave a Comment