এই নরদেহ | Ei Naradeha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
aa এই নরদেহ ঠাক্মা-মণি জিজ্ঞেস করলেন--কার Hoa জটিল ঠাকুরমশাই? পাত্রের না পাত্রীর? গুরুদেব POM দু'টোর দিকে Sry দৃষ্টি দিয়ে দেখতে-দেখতে বললেন-_বিংশোষ্তরী মতে জাতক-জাতিকা দু'জনের কুগুলীরই রাজ-যোটক ফলাদেশ রয়েছে। কিন্তু অষ্টোত্তরীও তো বিচার করতে হবে। অষ্টোভ্তরী মতে জাতকের মধ্যে বয়সে রিষ্টির লক্ষণ আছে-_ -তার মানে? প্রাণ সংশয় আছে নাকি আমার নাতির? গুরুদেব বললেন--আজ থাক, পরে বিশ্রাম নিয়ে সবিস্তারে ভেবে বলতে হবে-__আর দু'তিন দিন সময় লাগবে- তা সময় লাগুক, তবু দেখতে হবে যদি কোথাও কোনও বাধা থাকে তো তার প্রতিকারও করতে হবে। শেষকালে দু'দিন ধরে সেই Ho দু'টোর বিচার শেষ করলেন গুরুদেব | তিনি যথারীতি মোটা রকমের TR এবং দক্ষিণা নিয়ে আবার বারাণসী ফিরে গেলেন। যাবার সময় অন্যান্য প্রতিকাবের সঙ্গে একটা কথা শুধু বলে গেলেন। বললেন-_এই কন্যা কোথায় থাকেন? ঠাক্মা-মণি বললেন--খিদিরপুরে, মনসাতলা CCA! নিজের কাকার কাছে। --কাকার অবস্থা কেমন? ঠাক্মা-মণি বললেন--খুবই গরিব। বিধবা মা এই বিশাখাকে নিয়ে দেওরের কাছে গলগ্রহ হয়ে আছে-_ গুরুদেব বললেন--কিন্তু কন্যার একাদশে চতুর্থ-পতি এবং সপ্তম-পতি বৃহস্পতি তুঙ্গে। সুতরাং অর্থ-ভাগ্য ভালো। সেই বৃহস্পতি Acasa তৃতীয় স্থানে বৃশ্চিকে দৃষ্টি দিয়ে আত্মীয়-কুটুম্বদের সঙ্গে শুভ সম্পর্ক স্থাপন করবে আর মকরে সপ্তম দৃষ্টি দিয়ে লগ্নের পঞ্চম-মীনে মানে সম্ভান-সম্ভতির শুভ সূচনা করছে আর মীনে নিজের গৃহে নবম দৃষ্টি দিয়ে স্বামীরও শুভ করবে- বলে আবার একটু থামলেন। তারপর কী ভেবে নিয়ে আবার বললেন-_সপ্তম-পতিই সপ্তমকে দেখছে, এটা খুব শুভ-যোগ- ঠাক্মা-মণি আবার বললেন--আপনি যে বললেন আমার নাতিব মধ্য-বয়সে একটা ফাঁড়া আছে। গুকদেব বললেন--এখন তোমার নাতির বয়েস কত মা? -_সৌমের বয়েস? সে তো এখন সবে যোল য় পড়লো। এখনও Bera পড়ে-- গুরুদেব বললেন--তাহলে তো এখন অনেক দেরি। সে তখন দেখা যাবে। এখন থেকে আর অত পরের কথা ভেবে কী হবে। তবে একটা কথা বলতে চাই-_ —F কথা বলুন ঠাকুরমশাই? -_তোমার ওই ভাবী নাত-বউ-এর ‘fen’ নামটা বদলাতে হবে-_ -_তার বদলে কী নাম দেব বলুন? _স্বরবর্ণের প্রথম অক্ষর 'অ' দিয়ে নামকরণ করলে ভালো হয়- ঠাক্মা-মণি বললেন 'অ' অক্ষর দিয়ে আপনিই একটা নামকরণ করুন AI গুরুদেব বললেন--তাহলে 'বিশাখা'র বদলে “অলকা' নাম দাও মা- তা সেই নামই রাখার সিদ্ধান্ত হলো। তখন থেকে নাম হলো '“বিশাখা'র বদলে 'অলকা'। এ-সব আজ থেকে অনেক দিন আগেকার কথা। মল্লিকমশাই-এর কাছে শোনা এ-সব গাল্প। সন্দীপ তখন সবে বেড়াপোতা থেকে এই মুখুজ্জে বাড়িতে মল্লিকমশাই-এর এক হাঁড়ি ঘি নিয়ে কলেজে পড়তে এসেছিল। ওই লোহার গেটটার বাঁ দিকে ছিল মপ্লিকমশাই-এর ঘর। তারই মেঝেতে সন্দীপ রাত্রে শুয়ে থাকতো। আর সারাদিন মল্লিকমশাই-এর ফাই-ফরমাস খাটতো। মপ্লিকমশাই-এর বয়েস হয়ে গিয়েছিল। তার খাটবার ক্ষমতা কমে এসেছিল তখন। ঠাক্মা-মণিকে বলে মপ্লিকমশাই-ই এই ব্যবস্থা করেছিল। ঠাকৃমা-মণি মল্লিকমশাই-এর কথায় রাজি হয়েছিল। বলেছিল--ঠিক আছে সরকারমশাই, আপনি যখন বলছেন, তখন আ'ন তাকে MANTA |



Leave a Comment