পাকদণ্ডী | Pakdandi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাগানের এককোণে ডালিমগাছের নিচে লম্বা একটা পাথর, তার পাশে কেউ একটা পাহাড়ি গোলাপলতা লাগিয়েছিল | পাশের বাড়ি থেকে সোনামণি বলে একটা ছেলে এসে বলল, “ওমা জান না ! ওর নিচে মরা মানুষের ছাই আছে ! এ-বাড়িটা যাদের, তাদের লীলা বলে একটা ছোট্ট মেয়ে ছিল । অনেকদিন আগে বড় ভূমিকম্প হল, সবাই দৌড়ে ANG থেকে বেরিয়ে পড়েছিল | হঠাৎ এঁ ছোট্ট মেয়েটা--মা কোথায় ? মাকে দেখতে পাচ্ছি না !-_বলে ছুটে যেই না ভিতরে ঢুকেছে, অমনি বাড়ি ভেঙে পড়েছে । এঁ পাথরটা চাপা পড়ে লীলা মরে গেল ! অথচ তার মা বাইরেই ছিলেন 1” মনে আছে সে গল্প শুনে আমরা কেঁদেকেটে একাকার করেছিলাম | তবে গল্প শুনে কাঁদার মধ্যে এক রকম মধুর ভাব আছে, কিন্তু সত্যিকার দুঃখ এলে চোখ-মুখ সব 'তিক্ততায় ভরে যায় | সোনামণিরা পাশের বাড়িতে থাকত | তার দাদুর নাম ছিল বোস্‌ সাহেব । তাঁদের বাড়িতে সুন্দর একজন মেয়ে ছিলেন, পরে শুনেছিলাম তিনিই নাকি স্রীঅরবিন্দের স্ত্রী । সত্যি কি না জানি না। বোস সাহেবের এক ছেলে ভিখারি দেখলেই পয়সা দিতে চাইত, তাকে সবাই বকাবকি করত । সে নাকি বলত,'ওরা খায়নি, ওদের খেতে দাও !” সেই ছেলে মারা গেল | বছরে বছরে সেই দিন SHA বাড়িতে কাঙালী ভোজন হত | আমরাও কত সময় গিয়েছি | এ সুন্দর মানুষটি আমাদের যত্ন করে খাইয়েছেন | মনে কেমন দুঃখ লাগত | মাকে খুজতে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মরা আমার নামে নাম সেই ছোট্ট মেয়েটির জন্যেও বড় কষ্ট হত | তখন বৌধ হয় ১৯১০ কি ১৯১১ সাল, কারণ একটু একটু মনে পড়ে বিলেতে বুড়ো রাজা মরে গেলেন, তাঁর ছেলে রাজা হলেন | তাই চারদিকে আলো জ্বেলে আনন্দ প্রকাশ করা হল | আমাদের বারান্দার কড়িকাঠ থেকেও সুন্দর সুন্দর চীনে-লগন ঝোলানো হল | সে বড় সুন্দর জিনিস, আজকাল আর দেখা যায় না, তার কোমল রষ্ীন আলোতে ছায়ার ভাগই বেশি । কি রস, কি রোমাঞ্চ ! ভিতরে একটি ছোট মোমবাতি জ্বেলে, কাগজের ঘেরাটোপটি টেনে দিয়ে, তারের হুকটি কোথাও টাঙিয়ে দিতে হত । অমনি কাগজের ঘেরাটোপে আঁকা ada ছবিটিও ফুটে উঠত | তার নিচে কেউ দাঁড়ালে আমার তাকে সুন্দর দেখতে লাগত | বাড়ি সাজিয়ে আমরা গেছিলাম অন্যদের বাড়ি সাজানো দেখতে । ফিরে এসে দেখি মোমবাতি জ্বলে জ্বলে শেষ হয়ে গেছে, কাগজে আগুন লেগে ABT ছবি সব পুড়ে তো গেছেই, কড়িকাঠ সুদ্ধ জায়গায় জায়গায় ঝল্সে গেছে । আর রেগে টং হয়ে আছে ! ও-বাড়িতে NN খুব কম সময় ছিলাম, সেখান থেকে যেখানে উঠে +



Leave a Comment