গল্প [সংস্করণ-১] | Galpo [Ed. 1]

দু'জনায় ১ সেদিনও এমনি একলাটি বসেছিলুম, পড়ার ae কোলের উপর পড়েছিল, কিন্তু তার উপর চোখ পড়ছিল না। ভাবছিলুম আর একজনের কথা, আজ যেমন ভাবছি। মনে হচ্ছে, মিলনের পূর্বাহ্ণ আর অপরাহ্ণ yee সমান ব্যাকুলতায় ছলছল | টেলিফোনের ঘণ্টা বেজে উঠল। সকালবেলা তার চিঠিও পাইনি, ফোনও স্তনিনি। সকালের আলো ছুপুরে ঝিমিয়ে পড়েছে। কে জানে কার ফোন! গা তুললুম না। মিসেস ফিশার বুড়ীকে তার কসাই কিংবা afe স্মরণ করছিল ভেবেছিলুম। কিন্তু বুড়ী ডেকে বললে, “মিস্টার চৌধুরী, তোমার সেই বন্ধুনী।* “সেই বন্ধুনীটি”র aca মিস্টার চৌধুরীর কিছুমাত্র মাথাব্যথা ছিল না। কেন যে তিনি এ হতভাগ্যকে মাঝে মাঝে আপ্যায়ন করেন তিনিই জানেন | ক্র পদে নম্র নেত্রপাতে ফোনের রিসিভার কানে তুলে নিলুম। কানটাকে ঝাঝিয়ে নিয়ে কে যে কথা বলে গেল, বুঝলুম। অর্থাৎ কে তা বুঝলুম, কী তা বুঝলুম না। বাচা গেল যে, “সেই বন্ধুনী” নন। ইনি ফিস্‌ ফিস্‌ করে কথা বলেন না। ইনি কথা দ্বিয়ে যেন কান মলে দেন। যাকে দেখবার জন্যে এত ag ছিলুম, সে যে কী বললে, তা শোনবার Cet ছিল না। প্রতি প্রশ্নের উত্তরে একট! করে “ই” দিয়ে গেলুম। বললুম, “ই, আজ বিকেলে তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে যাব।” গেলুম যখন তথন গায়ে ছিল অর্ধেকটা টেনিসের পোশাক, অর্ধেকটা Tighe) আর হাতে একথানা “Brae টমসন্‌*। সাড়ে চারটের সময় অমুক জায়গায় cat করবার কথা। অমুক জায়গায় পায়চারি করতে লাগলুম। সে আর আসেই না। আশে-পাশের রাস্তাগুলোয় খানিকটে করে গিয়ে দেখতে লাগলুম, যদি তাকে দুর থেকে দেখতে পাই। মনে মনে বকুনির ভাষায় শান দ্বিতে থাকলুম। আধ মাইল দূর থেকে অবশেষে দেখা গেল কে একজন তুকতুষণা আসছেন। এত জোরে জোরে 11 ফেলছেন, যেন ধান ভানছেন, আর এত