বীরবল সাহনি | Birnal Sahni

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পারিবারিক ইতিহাস 7 গিয়ে তিনি সেখান থেকে এটি সংগ্রহ করে আনেন | দনস্তানা-পরা বানরটিকে তিনি এমনভাবে ধরে রাখতেন, AAR তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিতেন যে সকলেই ওটিকে সত্যিকার বানর- শিশু বলে ভুল করে বসত । দস্তানা-পরা নকল বানর-শিশু কেবলমাল্ল বাড়ির কাচ্চাবাচ্চাদেরই ঘে আনন্দ দিত, তা কিন্তু নয় । নববিবাহিত সাহনি ও তাঁর সলজ্জ স্ত্রীর মধ্যে যে সংকোচের আবরণ ছিল, নকল বানর তাও সরিয়ে দিয়েছিল । যুবক সাহনি বিয়ে করেছেন, স্ত্রীর সংগে প্রথম সাক্ষাৎ । বর বা বধূ, কারো মুখেই কথা ফুটছে না? এক অসহনীয় সংকোচ ও নিঃশব্দতা। সাহনির কোটের পকেট থেকে একটি বানরের বাচ্চার মুখখানা দেখা যাচ্ছে এবং তার চোখ দুটো পিটপিট করছে। সেটিকে দেখিয়ে সাহনি নব ACS বললেন, “এটি আমার পোষা বানর, এটিকে ভালওবাসি খুব । এতদিন আমি একাই ওকে লালন-পালন wae কিন্তু আজ থেকে, আমার ইচ্ছা, তুমিই ওর যত্ন-আত্তি করবে । নাও, ওর গায়ে হাত বুলিয়ে দাও, ও তোমার ভালবাসা চাইছে” ওটা যে একটি খেলনামাল্র, আসল বানর TH, তাঁর স্ত্রী কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি। তাই ওটাকে স্পর্শ করতে তাঁর সংকোচ হচ্ছিল । কিন্তু মহিলাটি ধীরে ধীরে আরও কাছে চলে এলেন এবং অবশেষে বুঝতে পারলেন ওটি একটি পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয় । স্থামী তাঁকে নিয়ে মজা করলেন “এই যা”। এবার দু'জনই হাসিতে ফেটে পড়লেন এবং উভয়ের সংকোচ ও জড়তা একদম কেটে গেল । এই নকল বানরটির সংগে সাহনির জীবন এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে, তাঁর কথা উঠলেই বানরটির কথা এসে যায় । দেখতে বিমর্ষ অথচ মানবিক অভিব্যক্তিতে AF এই ভাগ্যবান 'ম্যাসকট'টি সব্বন্ন তাঁর সংগে গিয়েছে ; সমূদ্রপথে, আকাশপথে, স্থলপথে তাঁর সংগী হয়েছে। ফসিলের খোঁজেই হোক বা প্রমোদ ভ্রমণের জন্যই হোক, এমন কোন দেশ ছিল না যেখানে বানরটি তাঁর সংগে যায়নি । সাহনি তাঁর আদরের পুতুলটির নাম রেখেছিলেন 'গিপ্পি”। আজ প্রভুর মৃত্যুর পরে তাঁর সংগৃহীত মূল্যবান জিনিসগুলির মধ্যে এটিরও স্থান হয়েছে। যথাসময়ে “ইন্স্টিট্যুট অব প্যালিওবোটানি'তে দর্শনীয় বস্তু হিসাবে এটি রাখা হয়েছে । সংস্কারমূক্ত চিন্তাধারার পরিবেশে বীরবলের জীবন গড়ে উঠেছিল ৷ সে সময় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি ছিল না বলে এম. এস-সি পড়ার জন্য বাবা কলকাতায় চলে যান । এটা এমন এক সময়ে যখন কলকাতায় ITA আন্দোলন খুব জোরদার হয়ে উঠেছে । সেখানে কেশবচন্দ্র সেনের বক্ততা শুনে তিনি ব্রাহ্মসমাজের আদশের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন ৷ কলকাতার প্রগতিবাদী wrod একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে তিনি লাহোরে ফিরে আসেন । ব্রাহ্মসমাজ সামাজিক ও adh ক্ষেত্রে এক বিরাট আলোড়নরাপেই দেখা দিয়েছেল। যে সকল প্রাচীন রীতি-নীতি ও বিশ্বাস সময়ের পরিবর্তনের সংগে সংগে তাদের তাৎপর্য হারিয়ে ফেলে অর্থহীন হয়ে পড়েছে, তাদের বাঁধন থেকে মুক্ত হবার এক প্রচণ্ড প্রয়াস ছিল এই আন্দোলন ৷ প্রগতির পথে এগিয়ে যাবার চেষ্টায় এই আন্দোলন জাত-পাতের প্রশ্নকে' সোজাসুজি অস্থীকার করল। রুটিরাম কলকাতা থেকে ফিরে লাহোরের ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনের নেতৃত্ব নিলেন । যে নতুন চিন্তায় Uae হয়ে তিনি কলকাতা থেকে ফিরে আসেন, তাকে কার্যকর রূপ দিতে গিয়ে তিনি বড় ছেলে ডঃ বিক্রমজিৎ সাহনির বিয়ে দিলেন তাঁদের জাতের AA! সমাজের যাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, তাঁদের তিমি সাফ বলে দিলেন, “সাহস থাকে তো আমাকে HAWES করে দাও” উচু গলায় যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন, দেখা গেল, সামাজিকভাবে রুচিরামকে “বয়কট” করার সাহস তাঁদের কারোরই হল AT |



Leave a Comment