সুধান্ত-সা [সংস্করণ-১] | Sushanta-sa [Ed. 1]

কিন্ত কথাটা আমার বুকের মধ্যে গিয়ে যেন তীক্ষু তীরের মত বি'ধল। তারপর দু'দিন Me কথাটা উঠতে বসতে গুতে আমাকে ব্যথা দিয়েছে আজও মনে আছে! এই কথাটা পরে অনেক বার অনেকের মুখে শুনেছি, এবং যখনই শুনেছি, বেশ মনে পড়ে, প্রাণে একটা কষ্ট অন্কুভব করতাম। একদিন শীতকালের সকালবেলা আমি আমাদের বৈঠকখান৷ দালানের স্দর-বাড়ীর সামনের প্রাঙ্গণে দাড়িয়েছিলাম, এমন সময় দেখি আমাদের স্কুলের হেড মাষ্টারমশাই আমাদেরই বাড়ীর দিকে আসছেন। সে দিনটা ছিল আমাদের স্কুলের বাৎসরিক প্রমোশনের দিন, তাই caw মাষ্টারমশাইকে দেখেই আমার বুকটা কেমন দুরু দুরু ক'রে কেঁপে উঠল। তিনি আমাদের বাড়ীতে ঢুকেই আমাকে সামনে পেয়ে হেসে আদর ক'রে আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে বন, “এবারও তুমি ফাষ্ট: হয়েছ We! তোমার বাবাকে সেই খবরটা দ্বিতে ate? আনন্দ আমার বুকটা নেচে উঠল। হঠাৎ দাদার sel মনে পড়ল, জিজ্ঞাস! করলাম, “দাদা! দাদার fe হলো?” তিনি গম্ভীর হয়ে বল্লেন, “তোমার দাদার বোধ a এবারও হলো না। দেশি তোমার বাবা কি বলেন ।” এই বলে তিনি বৈঠকথানা বাড়ীর ওপরে উঠে গেলেন। শুনে বেশ মনে পড়ে, এক মুহূর্তে যেন আমার সমস্ত আনন্দ একেবারে নিভে গেল । গত বছরের কথা মনে পড়ল। দাদা AEE থেকে Cae ক্লাসে প্রমোশন না পেয়ে তিন দিন বিছান|য় শুয় কেঁদছেছিলেন। এবারও হলো না। দাদার অন্য মনট! বড়ই অবসন্ন বোধ হ'তে লাগল | অমি আমাদের পুকুরের উত্তরের পাঁড়ের বাধা ঘাটের উপরে গিয়ে বসলাম--একট। পাতিলেবুর গাছের তলায় । এমন সময় চেয়ে দেখি বাগানের ভিতর দা কোথায় ছিলেন জানি না-পুকুর পাড় দিয়ে হন্‌ হন্‌ করে আমার দিকে এগিয়ে আসন । দাদার পায় এক জোড়া চটা এবং গায়ে একট। সবুজ রঙের আলোয়ান। চোখ দুটোর দিকে চেয়ে দেখি, একটা বিশেষ আকুল চঢাহনি। দাধার মুখের দিকে চেয়েই আমার মনট। কেমন SS ক'রে উঠল। wield সেই বয়সের চেহার। আত্ম আমার মনে যেন আরও উজ্জ্বল হ'য়ে উঠেছে, সব সময়ই BTR একথানি সহজ-সরল মুখের উপর বড় বড ভাস। ভাস! চোখে সব সময়ই একটা! গভীর বিশ্বাসের ছায়া। চোখ তুলে যাই দেখতেন, তারই মধ্যে পূর্ণ বিশ্বাসে আত্মনিবেদন করতেন--এইটেই ছিল যেন তার প্রাণের সহজ ধর্ম, এবং তারই অভিব্যক্তি ছিল তর সমন্ত অব্য়বের মধ্যে,