নতুন ফসল ময়ূরাক্ষী [পর্ব-১] | Natun Fasal Mayurakkhi [Pt. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একটুখানি ছায়৷ আছে এইখানে । এপারে কমলপুর, ওপারে ময়নাডাঙা। নদী ক্রমশ এইদিকে ভাঙছে। ময়নাডাঙা ক্রমে দূরে পড়ে যাচ্ছে। আম, জাম, তেঁতুল, অশ্বখের ফাক দিয়ে এপার থেকে ময়নাডাঙার বিশেষ কিছুই দেখা যায় না। কেবল গ্রামপ্রান্তের বাগ্দীপাড়ার কয়েকখানি কুঁড়ে ঘরের কিছু কিছু দেখা যায় বলেই বোঝা যায় ওখানে ঘন ছায়ার অন্তরালে একখানি ছোট গ্রাম লুকোনো আছে। আর বোঝা যায় নদীতে জল ভরে যে কুলবধূর৷ কলসী কীথে ফিরে যায় তাদের দেখে । কৌতূহলী চোখে এদিক ওদিক চাইতে চাইতে পায়ে চলা সরু পথ দিয়ে তারা ওই গ্রামে ফিরে যায়। এ পথে প্রত্যহ তারা যায়-আসে। তবু চিরনৃতন। বিস্তীর্ণ মাঠে, ছায়াঘন বাগানে, নিয়ত প্রবাহিত নদীজলে কি যেন আছে, কিছুতে পুরোনো হয় al | এদিকে, কমলপুরের দিকে, খেয়াঘাটের কিছু উপরেই স্মানের ঘাট। সরু এক ফালি রাস্তা! উচু পাড় থেকে একে বেঁকে ঘাটে নেমে এসেছে। স্নানের সময় সে রাস্তা! মেয়েদের ভিজে কাপড়ের জলে এমন পিছল হয়ে থাকে যে নিতাস্ত অভ্যস্ত ব্যক্তি ছাড়া আর কারও সে পথে ওঠা-নাম! করা কঠিন। মেয়েরা পারে। তাদের অত্যাস হয়ে গেছে। তারা ঘাটে ঘড় নামিয়ে বসে দীত মাজে, নিজেদের WISH সুখদুংখের গল্প করে, ওরই মধ্যে খেয়াঘাটে যারা পার হয় গুঠনের ফাকে তাদেরও দেখে নেয়। তারপর স্নান শেষ করে জলভরা ঘড়া Sica নিয়ে ডান হাত দোলাতে দোলাতে অবলীলাক্রমে উপরে উঠে আসে। উপরেই একটা বহুকালের প্রাচীন বটবৃক্ষ চারিদিক ছায়ায় অস্ধকার করে আছে। 'তারই নীচে দিয়ে গ্রামে আসার পথ। আলপথে একটুখানি এসেই গ্রামের রাস্তা, আলের চেয়ে খানিকটা চওড়া । গ্রামখানি forse cath সকলেই চাষী গৃহস্থ । ANAS কয়েক ঘর কুমোরের বাস। তাদের শালের আগুনের ধোয়৷ অনেক দুর থেকেও দেখা যায়। ওদিকে গ্রামের অপর প্রান্তে কয়েক ঘর হাড়ি-বাগ্দী বাস করে, গ্রাম থেকে একটুখানি বিচ্ছিন্ন হয়ে অত্যস্ত জরাজীর্ণ ছোট ছোট চালাঘরে। কমলপুরে ভদ্রলোক নেই। তবে অবস্থার তারতম্যে বড় ছোট বিভেদ যে নেই Bi নয়। এরা সকলেই নিজের হাতে চাষ করে। এদের গল্পগুজব, আলাপ- আলোচনা যা কিছু সবই চাষ নিয়ে। এবারে এখনও He বৃষ্টি না হওয়ায় সকলেই খুব চিন্তিত হয়ে আছে। এমন সময়ে VAM রাত্রে অতর্কিতে নামল বৃষ্টি । প্রবল বৃষ্টি। এত বৃষ্টি যে তার জন্যে কেউ প্রস্তুত ছিল না। যেমন ঝড়, তেমনি জল। মানুষ খুনী হবার অবকাশ পেল না। ঘর দোর সামলাতেই বিব্রত হয়ে উঠল। কিন্তু খুশী হল TAA | আসন্ন যৌবনের সম্ভাবনায় তার সমস্ত মন নৃত্য করে Thay



Leave a Comment