পলাশের নেশা [সংস্করণ-৩] | Palasher Nesha [Ed. 3]

অমিয় বলে, “মিষ্টার ঘোষ কি এখনও তোমাকে চিঠি লিখে বিরক্ত ক্রছেন ?* “a, এখন একেবারে থেমে গিয়েছেন। যদি আবার ও-সব বাড়াবাড়ি করেন, তবে আনি একেবারে আইনমত সেপারেট হয়ে যাব।-*'কিন্তু:*-কিন্তু'* আমার কী উপায় হবে অমি ?"” বেলার চোখে GA মাথা ঝুঁকে পড়েছে। বেলার পিঠে হাত বুলিয়ে সান্তনা দেয় অমিয়, “বল, আমি তোমার জন্য কী করতে পারি ?” “কিছু করতে হবে না। আমি আবার দাজিলিং-এ গিয়ে সেই একশ টাকা মাইনের চাকরিটা নিয়ে, যত বাজে বড়-লোকের লোভ আর উইকেডনেস থেকে প্রাণটাকে বাচাতে বাচাতে, হয়রান হয়ে, পাগল হয়, মরতে মরতে'**” ছলছল করতে করতে বেলার গলার স্বরটা যেন হঠাৎ একট) ঢেউ হয়ে আছাড় থেয়ে ভেঙে পড়তে চাইছে। অমিয় বলে, “আমি ত তোমাকে আগেই কথা দিয়েছি বেলা, বেহালার বাড়িটা তোমাকেই গিফ.ট করে দেব “কবে ?” “ধর, এই পুজোর ছুটির পরেই দু-এক দিনের মধ্যে ।” “কত রাত হল অমি ?” “বেশী aq! আরও কিছুক্ষণ থাকা যাক্‌ i” “সত্যনাথবানু 1” বিকালের শেষে সম্ধ্যাটা একটু আবছাময় হয়ে উঠেছে, মাধবীলতার ঘেরানের পাশে দাড়িয়ে ডাক শুনতে পেয়ে চমকে ওঠে সত্যনাথ। গলার সোনার হারে নীল পাথরের লকেট, সেই মহিল] আপনার এসেছেন | কাছে এগিয়ে আসেন মহিলা। প্রশ্ন করেন, “আজও কি ওরা আবার এসেছে ?” “sites হ্যা 1” “কী বলাবলি ক্রছিল ওরা 2” “আমি ও-সব কিছুই শুনিনি |” “আমার মনে হয়, আজকাল সকালের দিকেও ওরা এখানে একার আসে ।” “না, সকালের দিকে আসেন না 1”