উপকণ্ঠ | Upakantha

বলেছিল মাকে চা খেতে । চা খেলে নাকি মেদ কমে । গায়ের মাংসের বাহুল্য কমাবার জন্য মা চা খেল দিনক্য়েক। সে অবিনাশের সঙ্গে কত ঝগড়া-ঝাটি করে, GTA | তা বড় জোর চার দিন কি পাঁচ দিন। আর সব দিনই মায়ের সে কি শোসানি। রোজ জিভ পুড়ত মা-র। মা-র সেই সময়কার অবস্থার কথা ভাবলে এখনও হাসি পায় সন্ধ্যার | এখন চা খাওয়া হচ্ছে না যদিও, তবুও হঠাৎ হেসে উঠল সন্ধ্যা | ome যে,” অখিল তাকাল সন্ধ্যার দিকে | “এমনি ।” মুখে আচল চাপা দিল সম্ধ্যা। সকাল থেকে এই জন্যই ঘুর ঘুর করে এ-ঘরে আসছিল সন্ধ্যা । আর যাচ্ছিল । আকাশ কালো ছিল সকালের দিকে, তারপর নামল ae | ভয়ানক জোরে । নালা টালা ভাসল; রাস্তাও | উঠোনের জল বন্যার মত ছুটল রাস্তার দিকে । এমন ভয়ানক জল আর এ-বছর হয়নি। ঝুপঝাপ দরজ৷ বন্ধ হল সব ঘরের । একটা দু'টো জানলাও A আছে । সমন্ধ্যাদের ঘরের waerl কি জানলা কোনোটাই বন্ধ করতে হয় না। বৃষ্টির ছাট আসে সাধারণত ঘরের পেছন দিক থেকে | পেছনে কোন জানলা নেই সন্ধ্যাদের ঘরে | আছে একটিমাত্র জানল), সেও বা-দিকে। ওটা ঠিক যে জানল), তা নয়; বরং খুলঘুলিই বলা চলে | বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখছিল সন্ধ্যা । বৃষ্টি দেখতে ওর ভালই লাগে । চমৎকার। কিন্তু মনটাই যা কেমন কেমন করে। ভয়ানক উদাস আর কেমন এক ধরনের BW যে, সন্ধ্যা) তার রূপ কি পরিচয় কোনোটাই বোঝে না। ধরতেও পারে না। অথচ কেন যেন সমস্ত মনটা হু-হ করে, বড় খালি খালি লাগে বুকটা। আঠারোটা বসন্ত পার হওয়া বুকে Boa ১৮