লোকসংস্কৃতির ত্রিবলয় [সংস্করণ-১] | Loksanskritir Tribalay [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ লোকসংস্কৃতির ব্রিবলয় চর্চার রোম্যান্টিক আবেগ অচিরে বিলুপ্ত হয় এবং বিষয়টি ‘Folklore’ শব্দের অর্থের দ্বারা ব্যাপকতা লাভ BA | এই শব্দটির ব্যবহার ও প্রচারের দ্বারা ব্যাপকতা ও গভীরতা লাভ করতে সহায়ক হিসাবে ভূমিকা পালন করে লন্ডনের “ফোকলোর সোসাইটি” (১৭৭৮) এবং আমেরিকার “ফোকলোর সোসাইটি” (১৮৮৮)। বলাবাছল্য ‘Folklore’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। সেসব তর্ক-বিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে বহুল প্রচলনের সুবাদে বর্তমান প্রবন্ধে এ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে “লোকসংস্কৃতি” শব্দটিকেই গ্রহণ করা হয়েছে। “লোকসংস্কৃতি' বা 04016” কাকে বলবো — এ নিয়েও বহু তর্ক বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে পাশ্চাত্য দেশে এনিয়ে চর্চা বেশী হয়েছে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশেও এ নিয়ে তর্কে পিছিয়ে নেই। এডওয়ার্ড মারিয়া লিচ (Edward Maria Leach) সম্পাদিত ‘Standard Dictionary of Folklore, Mythology and legends’(1949) গ্রন্থে ২১টি সংজ্ঞার উল্লেখ রয়েছে। ফ্রান্সিস লিউটলে (Farncis Lee Utley) তার একটি প্রবন্ধে সংজ্ঞা গুলো বিভাজন করে কতকগুলো Wty’ বা ‘Key-Words’ পেয়েছেন যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সংজ্ঞায় স্থান পেয়েছে। যেমন — Oral, Tradition, Transmission, Communal ইত্যাদি। তার মতে Oral এবং Tradition শব্দদ্বয়১৩টি সংজ্ঞায় এবং Transmission শব্দটি ৬টি সংজ্ঞায় স্থান CATR! অর্থাৎ ‘Folklore’ এর মধ্যে তাৎপর্যময় দিকগুলো হল — ১. লোকসংস্কৃতিএতিহা নির্ভর। ২. লোকসংস্কৃতিমৌখিকভাবে বাহাতে-কলমে বংশানুক্রমে প্রবাহিত হ্য়। ৩. লোকসং্কৃতিসমষ্টিমনের ফসল। উপরোক্ত দিকগুলোর দেখা মিলবে ভারতীয় উপমহাদেশের বাতাবরণে গড়ে ওঠা সংজ্ঞাতেও ৷ প্রথমতঃ “Eolklore is the total creation of the life practice and the ideotional-persuit of mainly collectively spontaneous and anonymous effort of an integrated Society” অর্থাৎ সংক্ষেপে, লোকায়ত জীবন চর্যা ও মানস চর্চাই হল লোক ACHAT | দ্বিতীয়তঃ ১৯৮৫ সালের জানুয়ারী মাসে ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা প্রণীত Folklore’ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে -



Leave a Comment