সদাশিবের তিনকাণ্ড | Sadashiber Teenkando

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পরপারে একটা ছুর্গের চূড়। দেখা যাচ্ছে। কোন্‌ QT বলা যায় না । মহারাষ্ট্র দেশের পাহাড় পর্বতের খাজে খাজে কত gf আছে; কোনোটা বিজাপুরীদের দখলে, কোনোটা মোগলদের দখলে, আবার কোনোটা শিবাজী ছলে-বলে দখল করে নিয়েচ্ছেন। ওই দুর্গটা কার দখলে তা না জেনে ওদকে যাওয়া নিরাপদ নয়। তাছাড়া ওখানে যেতে হলে কোন্‌ পথে কত পাহাড় ঘুরে যেতে হবে তা কে জানে | তার চেয়ে নাকের সোজা চলাই ভাল | সারাদিন সদাশিব চলল | ক্ষিদে পেলে ঘোড়ার পিঠে বসে বসেই কিছু খেয়ে নিল । অবশেষে স্থর যখন পাটে বসতে যাচ্ছে, এমন সময় সে একটা নতুন উপত্যকায় পৌছল। বেশ বড় উপত্যকা, অনেক গাছপালা ; মাঝখান দিয়ে একটি সরু নদী বয়ে গেছে। সদাশিব ভাবল, পুণার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি, হয়তো মানুষের দেখা পাব। তা যদি নাও পাই, এখানে রাত কাটানো শক্ত হবে না। অনেক বড় বড় গাছ আছে | উপত্যকায় ন্বেমে এসে সদাশিব কিন্তু জনমানুষ দেখতে পেল না। আগে এখানে গ্রাম ছিল, এখনও নদীর পাড়ে ছাইয়ের একটা bap তারই সাক্ষী দিচ্ছে; গ্রামবাসীরা শত্রুর আব্রমণে মরেছে, যারা পেরেছে পালিয়েছে । শত্রু গ্রাম লুঠ করে ঘরে আগুন দিয়ে চলে গেছে | নদীর পাড় থেকে জলের ধারে গিয়ে সদাশিব ঘোড়া থেকে নামল । ঘোড়ার লাগাম খুলে সামনের পা ছেঁদে দিয়ে ছেড়ে দিল | নদীর ধারে কূচি ঘাস আছে; ঘোড়। তাই খাবে কিন্তু বেশি দূরে পালাতে পারবে A | তারপর সে জলের ধারে পাথরের ওপর বসে পেট ভরে খাবার খেল ; থলি প্রায় খালি হয়ে গেল। শুধু মুগের ATO সে কালকের জন্য রেখে দিল। কাল লোকালয়ে পৌঁছতে পারবে কিনা বলা যায় না। কিছু রসদ থাক। ভাল | apeq শেষ করে সদাশিব গাছ খুঁজতে বেরুল ৷ রাত্রে মাটিতে শোয়া চলবে না, নেকড়ে তরস আছে | গাছে উঠে রাত কাটানোই সব চেয়ে নিরাপদ। নদী থেকে খানিকটা দূরে একটা প্রকাণ্ড গাছ রয়েছে, বুনে! জাম গাছ। গাছের ডালে ডালে থোকা থোকা কালে] ফল ফলেছে, গাছের তলায় ঝরে-পড়া পাকা জাম ৮



Leave a Comment