উদাসের নৌকা | Udaser Nouka

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
উদাসের নৌকা মধ্যে সব দ্বীপকে জলের তলায় পৌঁছে দেবে। সলিল সমাধি | সৃষ্টির ধ্বংসের সূচনা এইভাবে হয়। এর আগে ডিসেম্বরে শীত পড়ল না। জানুয়ারির মাঝামাঝি তার কোন পাত্তা পাওয়া গেল না। কিন্তু হঠাৎ জানুয়ারির শেষ দিকে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে শীত পড়ে গেল। কনকনে বাতাস। ঝড়ো হাওয়া। বরফ পতন, বৃষ্টি সব একসঙ্গে হাজির। মানুষকে দুরমুশ করে ছেড়ে দিল। পাহাড়ী এলাকায় বহু লোক মারা গেল। মারা গেল মানুষ সমতলের, বিহার ঝাড়খণ্ড উত্তরপ্রদেশ রাজস্থানেও | যারা মারা গেল তারা গরিব। ভাল খাদ্য নেই, শীতবস্ত্র নেই, মৃত্যু ছাড়া গতি কি? আবার ফেব্রুয়ারির শেষে গরম এসে গেল। শীতের মহানির্বাণ যাত্রা। গরম বাড়তে বাড়তে মার্চ মাসে কঠিন হয়ে গেল। পুকুর নদী বিল নালা সব শুকাতে শুরু করল। SAPS দেখা দিল। এই জলকষ্ট দিনে দিনে বাড়বে, বুঝল উদাস। কথামতো জয়েন করেছে “শিল্পা ব্রিকস্‌' কোম্পানিতে উদাস। এই কনসার্নটা সুনীলের মামা দেবেশ দত্তের। তিনি বড় ব্যবসায়ী। নামকরা। তার বাস আছে একাধিক, প্রমোটিং আছে, তারপর ইট ব্যবসা। তার কত টাকা কেউ জানে না। সুনীলও না। সে বলে-_ মামাবাবুর টাকার পরিমাণ আমার অজানা। শুধু জানি, মামাবাবুর প্রচুর সোনার বিস্কুট আছে। মামীমা ব্যাঙ্কের লকারে গিয়ে সেগুলো গুণে গুণে দেখেন, কত বাড়ল। দেবেশবাবু সুনীলের নিজের মামা নন। সম্পর্কে মামা। শোনা যায়, মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক মধুর হয় না। মহাভারত-এর ANT | কিন্তু এ তথ্য সুনীল বা দেবেশবাবুর সম্পর্কে প্রযোজ্য নয়। মামাবাবুকে ধরলে, সেটা সাধ্যে থাকলে মামাবাবু কাজ করে দেন সুণীলের। দেবেশবাবুর কানেকশন অনেক। উপরমহলে খাতির আছে। এসব কথা সব ধনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । কোন সরকার গরিবদের দেখতে পারে না, শুধু তাদের ভোটটি ছাড়া। তাদের যত ভালবাসা ধনীদের ACCA | শিল্পপতির সঙ্গে। সেখানে লাভ আছে। সুখের ব্যবস্থা আছে। উদাসের ডিউটি পড়েছে প্রতিদিন বেলা বারোটা থেকে সম্ধ্যা ছটা পর্যস্ত। একমাত্র ছুটি রবিবার। বাকি দিন ছুটি নিতে গেলে দেবেশবাবুর পারমিশন লাগবে | মাইনে যা বললেন দেবেশবাবু, তা খুব ভাল নয়, আবার খারাপও AT | সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল উদাস। না হয়ে উপায় কি? সে হিসাব করে দেখল, সকালে তার টিউশনির টোল ঠিক থাকছে। বেলা AG পর্যন্ত। তারপর হাতে থাকছে তিন ঘণ্টা। তার মধ্যে বাজার-হাট করা যাবে। স্নানাহার সেরে সাড়ে এগারোটার বাস ধরলে দিব্যি বারোটার মধ্যে পৌঁছে যাবে সাইট। সাইটটা হচ্চে ময়ূরাক্ষীর তীরবর্তী এক গ্রামের ধারে বেশ কিছু GPITS | এগুলো অকৃষি জমি। PATH হত্যা করে শিল্প নয়। কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচে না। এক দালালের মাধ্যমে জমিগুলো কিনেছেন ১৬



Leave a Comment